গল্প: তোমায় নিয়ে 3,4

তোমায় নিয়ে

গল্প : তোমায় নিয়ে

পর্ব:-(৩+৪)
.
আংকেল! আংকেল!
শাহিন সাহেব পিছনে তাকালেন। দেখলেন একটি যুবক হন্তদন্ত হয়ে তার দিকে ছুটে আসছে।
– আসসালামু আলাইকুম
– ও আলাইকুমুসসালাম।
– আপনি আপনার চশমাটা মসজিদেই ফেলে এসেছিলেন। আমি আপনার পিছনের কাতারেই ছিলাম। এই নিন আপনার চশমা।
– জাযাকাল্লাহু খইরন। তুমি কি এখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে আস?
– আলহামদুলিল্লাহ প্রায়ই আসা হয়।
– তোমার নাম কি?
– ঈশাম।
– চল হাটতে হাটতে কথা বলা যাক।
– জি চলুন।
– তুমি কোথায় থাক?
– আমি এই তো রয়েল স্টরের পিছনের গলিতে থাকি।
– এখন কোথায় যাচ্ছ?
– আমি এক বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি আংকেল। ওর কিছু সাহায্য লাগবে।
– ও আচ্ছা। ঠিক আছে। আমি আমার বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছি।
– জি আংকেল আসসালামু আলাইকুম
– ও আলাইকুমুসসালাম।
.
ঈশাম একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম । ভার্সিটি লাইফের প্রথমেই সে আল্লাহর রহমতে দ্বীনের পথে চলতে শুরু করেছে। খুব ছিমছাম শরিরের গঠন। একেবারে হ্যাংলা পাতলা না। চাপ দাড়ি ওয়ালা। হযরত মুহাম্মাদ ( সা) এর ভালবাসায় ভালবাসার দাড়িটা সে রেখে দিয়েছে যা অতি প্রিয় ঈশামের কাছে। টাখনুর উপর পাজামা পরিহিত। যেমন চলন বলনে তার দ্বীনদারিতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ঠিক তেমনি কথা বার্তা, আচার আচরনেও সেই সৌন্দর্যটাই ফুটে ওঠে। বলতে গেলে প্র্যাকটিসিং দ্বীনি যুবক।
.
পরের দিন শাহিন সাহেব যখন মসজিদে গেলেন ফজরের নামাজের জন্য সেখানে ঈশাম কে দেখলেন প্রথম কাতারে ২ রাকাত নামাজ আদায় করছে। শাহিন সাহেব পাশে গিয়ে তিনিও ২ রাকাত নামাজ আদায় করলেন। এরপর জামায়াতের সহিত তারা ফজরের সালাত আদায় করলেন। ২ জন একসাথে মসজিদ থেকে বের হলেন।
– আসসালামু আলাইকুম আংকেল। ভাল আছেন?
– ও আলাইকুমুসসালাম। জি আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছ?
– আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
– তুমি কি কর মানে কোন লাইনে পড়াশুনা করেছ?
– জি আংকেল আমি জেনারেল লাইনের স্টুডেন্ট ছিলাম। অনার্স পাশ করে প্রাইভেট কম্পানিতে ছোট একটা পদে আছি।
– মা বাবা আছে তোমার?
– জি আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার মা বাবার সাথেই থাকি।
– খুব ভাল। তোমার সাথে আমি কিছু দ্বীনি কথাবার্তা বলতে চাই। আমি কিছু জানতেও চাই।
– আসলে আমি অতটা জানিও না। কিন্তু আমি যা জানি আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব ইংশা আল্লাহ।
.
শাহিন সাহেবের সাথে ঈশামের দ্বীন বিষয়ে নানা রকম আলাপ অালোচনা চলতে লাগল। বেশ কিছুদিন কেটেও গেল। ঈশামের কথাবার্তা আচার আচরনে অত্যন্ত মুগ্ধ। তাই বার বার ঈশামের সান্নিধ্য থাকে। কত হাদিস বলে শাহিন সাহেবকে বুঝিয়ে দেয়।
.
– আসসালামু আলাইকুম ইমাম সাহেব।
– ও আলাইকুমুসসালাম।
– আপনার কি কিছু সময় হবে আমার সাথে কথা বলার?
– জি ইংশা আল্লাহ। বলুন।
– আমি আমার মেয়ের জন্য পাত্র খুজতেছি।
– আলহামদুলিল্লাহ। খুশির খবর।
– একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে এসেছি । আচ্ছা পাত্র পক্ষই কি শুধু মেয়ে পক্ষকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে? পাত্রি পক্ষ কি প্রস্তাব দিতে পারে না? মানে বলতে চাচ্ছি যে কোনো ছেলেকে যদি পছন্দ হয় তার সাথে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দিতে চাই তাহলে কি আমি সেই ছেলেকে আগে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারব না?
– জি! ইসলাম এই বিষয়ে অবশ্যই অনুমতি দেয়। অবশ্যই আপনি পাত্র পক্ষকে আগেও প্রস্তাব দিতে পারবেন। শুধু যে ছেলেরাই প্রস্তাব দিবে তা না মেয়েরাও দিতে পারবে।
হযরত আনাস ( রা) বলেন: একবার একটি মেয়ে লোক সম্ভবত তার নাম লায়লা বিনতে কয়েস ইবনুল খাতিম রসূলে কারীম ( সা) এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে হযরত মুহাম্মাদ ( সা) এর সাথে সরাসরি নিজের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বললেন-
হে রাসূল! আপনি কি আমাকে বিয়ে করার কোনো প্রয়োজন মনে করেন?
হযরত আনাস যখন এ কথাটি বর্ননা করছিলেন, তখন সেখানে তার মেয়ে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পিতাকে সম্বোধন করে বললেন-
মহিলাটি কতই না নির্লজ্জ ছিল!
অর্থাৎ একটি মেয়ে নিজে নিজেকে রাসূলুল্লাহ ( সা) এর নিকট বিয়ে দেওয়ার জন্য পেশ করছে শুনে আনাস কন্যা উমাইনার বিস্ময় বোধ হয়েছে এবং এ কাজকে তিনি নির্লজ্জতার চরম বলে মনে করেছেন। তখন হযরত আনাস মেয়েকে লক্ষ করে বললেন-
সে তোমার থেকে অনেক ভাল ছিল। সে রাসূলুল্লাহ ( সা) এর প্রতি অাকৃষ্ট হয়েছিল এবং সে নিজেই নিজেকে রাসূলুল্লাহ ( সা) এর নিকট বিয়ের জন্য পেশ করেছিল।
.
শাহিন সাহেব কোনো মেয়ে যদি নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিজে দিতে পারে তো মেয়ের পিতা মাতাও প্রথমেই ছেলে পক্ষকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে এতে কোনো দোষ নেই।
– জি আলহামদুলিল্লাহ।
.
বাসায় ফিরে নীরার মাকে শাহিন সাহেন জিজ্ঞাসা করল:
– নীরা কি বোরখা পরছে?
– না সে রাজি না।
.
রাতে নীরার বাবা নীরার রুমে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল:
– মা! তুমি কি বোরখা পরতে অস্বীকৃতী জানিয়েছ?
– হ্যা!
– কেন তোমার মা তো বোরখা পরা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু তুমি কেন পরছ না?
– বাবা তুমি এসব কি বলছ? আমি বোরখা পরে গেলে বন্ধু বান্ধবিরা হাসাহাসি করবে, আর কেউ ওভাবে আসে না ভার্সিটিতে, তাই আমি কেন কালো বোরখা পরে সবার হাসাহাসির পাত্রী হব। আর মা এখন বোরখা পরছে মায়ের অনেক বয়স হয়েছে। আমার তো বয়স হয় নি। বয়স হলে ঠিকি পরব।
– পর্দা কি শুধু বয়স্কদের জন্য? পর্দা সকল মুমিন নারীদের উপর ফরজ। আল্লাহ কি বলেছেন জান?
” হে নবি! আপনি আপনার স্ত্রীগনকে ও কন্যাগনকে এবং মুমিন নারীগনকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ( সুরা আহযাব- ৫৯)।
– বাবা! এসব করে দুনিয়াতে টিকা সম্ভব নয়! তাছাড়া বোরখা নিকাব পরলে এখনকার সময়ে তাদের জংগি বলে। অনেক ঝামেলা হয়। আমি ওসব ঝামেলায় পরতে চাই না। আমার পরিক্ষা আছে বাবা! পরতে দাও।
শাহিন সাহেব মাথা নিচু করে চলে গেলেন।
.
– ঈশাম!
– জি আংকেন বলুন!
– তোমার সাথে কিছু কথা বলার ছিল।
– জি আংকেল।
– তুমি বিয়ে শাদি নিয়ে কি ভাবছ?
.
( চলবে ইন শা আল্লাহ)
পর্ব- ৪
.
ঈশাম শাহিন সাহেবের কথা শুনে লজ্জাবোধ করল। নিজেকে সামাল দিয়ে বলল
– জি ভাবছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমি কি তোমায় কোনো সাহায্য করতে পারি?
– ঈশাম কি বলবে বুঝতে পারছিল না। মাথা নেড়ে সম্মতি দিল।
.
শাহিন সাহেব তার স্ত্রীর মতামত নিল মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে ।
নীরার রুমে গিয়ে মা বাবা দুজনই উপস্থিত।
– কিছু কি বলবে তোমারা?
– মা! তোমার বিয়ের ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
– নীরা ইতস্তত বোধ করল।
– বাবা বলল তোমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। মা বাবা হিসেবে দায়িত্ব হল তোমাকে সত পাত্রস্থ করা। আমরা ছেলে দেখছি। তোমার মতামত আশা করছি।
– নীরা কিচ্ছুক্ষণ চুপ থেকে মাথা নেড়ে সায় দিল।
.
মা বাবা মেয়ের অনুমতি নিলেন। কিন্তু নীরা রাজি হল কেন? সেতো রাজি হওয়ার কথা না। কেন নীরা রাজি হল সে নিজেও বুঝল না। মনের ভিতর খুঁতখুঁত করছে। কি যেন হতে যাচ্ছে, ভাবনায় সিক্ত নীরা।
.
শাহিন সাহেব ঈশামকে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। এবং মেয়েকে দেখতে বললেন। তার আগেই শাহিন সাহেব তার মেয়ে কিরকম তা জানিয়ে দিলেন। কিন্তু কিছু করার ছিল না। আল্লাহর ইচ্ছাই হয়ত সব কিছু হচ্ছে।
ঈশাম তার মা বাবাকে নিয়ে নীরাকে দেখতে এল। যথাসময়ে নীরাকে দেখে তারা চলে আসলেন।
.
নীরার বাবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পরলেন। এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলেন। ঈশামকে শাহিন সাহেব ফোন দিলেন।
– আসসালামু আলাইকুম আংকেল
– ও আলাইকুমুসসালাম। তোমাদের মতামত কি হল জানতে চাচ্ছিলাম।
– ঈশাম কিছু একটা ভেবে বলল আংকেল আমি আপনাকে এক সপ্তাহ পর জানাব।
– ঠিক আছে।
.
দুরুদুরু বুকে শাহিন সাহেব ফোনটা কেটে দিলেন। খুব চিন্তায় পরে গেলেন তিনি।
ঈশাম কে তো ওনাদের খুব পছন্দ হয়েছে কিন্ত নীরাকে কি পছন্দ হয়েছে তাদের? আর তাছাড়া ঈশাম যেরকম ছেলে নীরাকে পছন্দ না হওয়ারি কথা।
.
ঈশাম ৭ দিনের সময় নিয়েছে। জীবনের এত বড় একটা সিদ্ধান্ত এক মুহূর্তের মধ্যে নেওয়া যায় না। আর তাছাড়া নীরার বাবা নীরার সম্পকে যা বলেছিল তাতে ঈশাম কিছুটা দ্বিধার মধ্যে পরে গেল।
.
ঈশাম ইস্তেখারার নামাজে দাড়িয়ে গেল। আল্লাহর সিদ্ধান্ত কি সেটা জানা দরকার। আল্লাহ তা’য়ালা যদি বিয়েতে কল্যান কিছু রাখেন তাহলে অবশ্যই বিয়ে আল্লাহ দিয়ে দিবেন আর যদি অকল্যান রাখেন তাহলে যেন বিয়ে আল্লাহ লিখে না রাখেন। ঈশামের সেই কুরঅানের বানী মনে পড়ছে-
” তার নির্দেশনার মধ্যে আর এক নির্দশন ( হচ্ছে) : তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের সঙ্গীনিদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমারা ওদের নিকট শান্তি পাও। এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সহানুভূতি সৃষ্টি করেছেন ; নিশ্চয় চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে নির্দশন আছে। ( সুরা আর রুম- ২১)।
.
মহান আল্লাহর নিকট ঈশাম দোয়া করলেন
” হে রাব্বুল আলামীন! সকল কল্যান তোমার হাতে। তুমি জান কোনটা কল্যানকর আর কোনটা অকল্যানকর। তুমি যদি এই বিয়েটা মঙ্গলজনক মনে কর তাহলে বিয়ে সম্পন্ন কর আর তাকে তুমি হেদায়েত দান কর। কারন তুমিই হেদায়েতের মালিক। আর যদি অকল্যানকর মনে কর তাহলে বিয়েটা স্থগিত করে দাও হে রব্বে কারীম।”
.
১ দিন যায়, ২ দিন যায়, ৩ দিন যায় শাহিন সাহেবের নিকট ঈশামের মতামত আসে না।
৭ দিনের মাথায় ঈশামের ফোন এল শাহিন সাহেবের কাছে।
ঈশাম তার সম্মতি প্রকাশ করল। শাহিন সাহেব উচ্চস্বরে বলে উঠলেন আলহামদুলিল্লাহ!!!!
.
শাহিন সাহেব নীরাকে জানালেন ঈশাম বিয়ের জন্য সম্মতি দিয়েছে। নীরা কিছু বলল না। শুধু মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করল।
.
২২ তারিখ ঈশাম আর নীরার বিয়ের দিন ধার্য করা হল। বিয়ে হবে পর্দার সহিত। নীরাকে অপরূপ রূপে সাজিয়েছে তার কয়েকজন কাছের বান্ধবি। নীরার মাহরাম ছাড়া আর মহিলা ছাড়া নীরাকে আর কেউ দেখতে পারবে না বলে জানাল ঈশাম। সেই মতাবেক কাজ। মসজিদে ঈশামের বিয়ের কাজ সম্পাদন করা হল। খোরমা খেজুর ছিটানো হল। নীরার বিয়ের দেনমোহর ধরা হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। সেটা ঈশাম নগদেই শোধ করে দিল।
.
এদিকে নীরার স্বপ্ন ভেঙে খান খান। কেন সে এই বিয়েতে মত দিল? কেন সে এরকম করল। বিয়েতে মতামত না দিলেই হত। নীরার কত আশা ছিল কমিউনিটি সেন্টারে তার বিয়ে হবে, গান বাজনা, হৈ হুল্লর হবে, তার বন্ধু বান্ধবিরা নাচানাচি করবে, আর সেকিনা এরকম পুতুল সেজে বসে আছে, বাবা এরকম একটা হুজুর টাইপের ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করলেন, তা ছাড়া তখন কেন মানা করল না নীরা যে- আমি বিয়ে করব না!
.
কোনো কিছুই তো করার নেই! বিয়ে তো হয়েই গেছে। নীরার দম বন্ধ হয়ে আসছে। কিভাবে এই হুজুর স্বামীর সাথে সংসার করবে সারাটা জীবন ভাবতে কান্না পাচ্ছে। বাবা আর ছেলে পেলেন না। আর দোষটা তো আমারই। কি খেয়ে যে বিয়ের জন্য রাজি হয়েছিলাম!
.
নীরা তার শশুড় বাড়িতে ঈশামের রুমে বসে আছে। চারদিকে ট্যাপট্যাপ করে চেয়ে দেখছে। রাজপ্রাসাদ ছেড়ে ছোট একটা সংসারে সে। ২ রুম। ১ রুমে ঈশামের বাবা মা। আর এক রুমে ঈশাম থাকে। এখন সঙগি হল নীরা। ফার্নিচার বলতে একটা বিছানা, একটা টেবিল আর একটা কাপড়ের আলমারি। এই ৩ টা। নীরা মনে মনে ভাবল : কি দেখে যে বাবা বিয়ে দিল! আমি এখানে থাকব কিভাবে? বাবা তো আমাকে ঘর ভর্তি জিনিস দিতে চেয়েছিল। আর ঈশাম না ফিশাম মহাশয় নাকি কোনো কিছু নিতে রাজি নয়! এত বড় সুযোগ আজকাল কোন ছেলে মিস করে। আজব কিসিমের মানুষ!
নীরা শুনেছিল একটা কথা নীরার খালার সাথে গল্প করছিল-
” ঈশাম নাকি নীরার বাবাকে বলেছে বিয়ের পর নাকি ঈশাম এর বাড়িতে মেয়ের ফ্যামিলি থেকে কিছু না যায়। ঈশাম যা রোজগার করবে তাই দিয়েই নাকি নীরার। ভরণপোষণ করবে। নীরার বাবাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। “
.
কি হতে যাচ্ছে নীরা কিছুই বুঝতেছে না। সে তো এমন চায় নি তাও আল্লাহ তাকে কেন এমন দিল।
.
নীরা মনে মনে বলল- চেয়েছিলাম হ্যান্ডসাম একটা ছেলে যে কিনা বাইক হাকিয়ে চলবে তার পিছনে নীরা ওড়না চুল উড়িয়ে সারা শহর ঘুরবে। ছুটির দিন গুলোতে রেস্টুরেন্ট এ যাবে। দুজন মিলে জব করবে টাকা কামিয়ে সেই লেভেলের ইনজয় করবে, কাপল ছবি তুলে ফেসবুক ভাসিয়ে তুলবে, শত শত লাইক কমেন্টে ভরে যাবে অাপলোড করা ছবি গুলো, বিয়ে হবে সেই ধুমধামে। আর কি হল!
নীরা জানে এই কিসিমের মানুষ গুলো সেকেলে হয়, আন রোমানটিক হয়, গুরু গম্ভীর হয়, ভাবতে ভাবতে নীরার দম ভারী হয়ে উঠল।
.
নীরা কানতেও পারছে না। তাই চোখ দিয়ে পানি না পরে নাক দিয়ে পানি পরছে। আর মনে মনে বলছে হে আল্লাহ! তুমি আমার সাথে এমন এক জনের সাথে বিয়ে লিখে রেখেছিলে!
.
নীরা ভাবনায় বিভর! ঠক! শব্দে নীরা আচমকা ঝাকি দিয়ে উঠল!!
দরজার নিচের দিকে তাকিয়েই দেখতে পেল একটা কালো ছায়া……………
.
( চলবে ইন শা আল্লাহ)
carnation e book

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *