Carnation E-Book islamic,রোমান্স, ফ্যান্টাসি

ফিরে আসা

ফিরে আসা

Product details

ফিরে আসা /Phire asa

pages

295.

Language

Bengali

Publisher

Carnation e book

Format

E book

Read sample

পর্ব:১

ফাতেমা :মা আমি আসছি । কলেজের জন্য দেরি হয়ে গেলো ।হে আল্লাহ আজ কলেজের প্রথম দিন আর আজি দেরি হয়ে যাচ্ছে!!

কি যে করি? ??মা গেলাম আমি । আল্লাহ হাফেজ

মা: আরে শোন পাগল মেয়ের কথা না খেয়ে চলে যাবি????

একটু দাড়া খাবার খেয়ে যা ।

ফাতেমা : না মা সময় নেই

মা: চুপ করে দাড়া আমি খাইয়ে দিচ্ছি।

ফাতেমা : তোমার সাথে আর পারা যায় না গো মা জননি। আচ্ছা দাও খাইয়ে দাও । কিন্তু একটু খাবো কিন্তু !!!

মা: আচ্ছা ঠিক আছে পাগলি আমার।

মা বাবার এক মাত্র মেয়ে ফাতেমা । তার একটি বড় ভাই আছে । সব মিলিয়ে সুখি পরিবার ।

ফাতেমার রুপ আর গুণের বর্ণনা করা ভার । যে রকম রুপবতী সেইরকম গুণবতীও সে ।

কিন্তু তার রুপ আজ পর্যন্ত কোন পরপুরুষ দেখতে পায়নি

কারন সে পরিপুর্ন পর্দা করে ।

তার পরিবারের সবাই এতোটা ধার্মিক না হলেও তাকে দেখে মনে হয় না যে সে কোন ধার্মিক পরিবারের মেয়ে না ।

আজ ফাতেমার কলেজে প্রথম দিন । সে জেনারেল লাইনে পড়লেও তার চালচলন দেখে মনে হয় কোন মাদরাসার ছাত্রী সে । এইবার ssc পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠেছে সে

ফাতেমা : মা গেলাম আমি ।

আল্লাহ হাফেজ

মা: সাবধানে যা

ফাতেমা : এই যে মামা [রিকশাওয়ালা] যাবেন??

রিকশাওয়ালা : কই যাবেন চাচি???

ফাতেমা : চাচি???? [মনে মনে বলছে আর হাসছে!!] মামা আমি কলেজ রোড যাবো যাবেন ???

রিকশাওয়ালা মামা ফাতেমা কে চাচি বলার কারন ,ফাতেমা কালো বোরকা, বড় হিজাব ,হাত মোজা পা মোজা পরিহিতা ছিলো

রিকশাওয়ালা: যামু চাচি । আসেন ।

ফাতেমা যখন রিকশায় ওঠার জন্য রাস্তার ওপারে যাচ্ছিলো তখনি একটা বড় গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা মারার মতো অবস্থা । আরেকটু হলেই গাড়ির নিচে চাপা পড়তো ফাতেমা ।

ফাতেমা : আলহামদুলিল্লাহ ।হে আল্লাহ তোমার কাছে লাখো শুকরিয়া । ভাগ্যিস আয়তুল কুরসি পড়ে বের হয়েছিলাম।

মাহিন:এই যে চাচি মরার জন্য কি আর জায়গা পান না নাকি ??

আমার গাড়ির নিচেই আসতে হলো? ??

ফাতেমা :চাচি হাহাহিহিহি [মনে মনে হসছে আর বলছে তাহলে আমার পর্দা মনে হয় পরিপুর্ন করেই করা হয় । কেউ বয়স বুঝতে পারে না হিহিহিহি] এই যে জনাব আমি আপনার গাড়ির নিচে আসিনি ।বরং আপনি বেশি জোরে বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন

ফাতেমার কন্ঠ শুনে মাহিন বুঝতে পারলো ফাতেমা আর যাই হোক ওর চাচির বয়সি হবে না!

মাহিন: আর কথা বলবেন না । এমনিতেই মেজাজটা গরম আছে। আমার গাড়ির সামনে থেকে যান। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে ।

ফাতেমা :মনে রাখবেন আল্লাহ রাগী ও বদমেজাজি পছন্দ করেন না ।

মাহিন : [রাগি স্বরে] আমাকে ঞ্জান দিতে আসবেন না । সরুন এখান থেকে । যত্তসব

বড়লোক বাবা মায়ের বদমেজাজি রাগি ও আধুনিক ছেলে মাহিন । ছোট বেলা থেকে কোন দ্বীনি শিক্ষা না পাওয়ায় আজ এ অবস্থা । অপর দিকে বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান সে ।একটা ছোট বোন আছে । তার নাম মহিমা ।

এর পর মাহিন সেখান থেকে চলে গেলো তার গন্তব্যে আর ফাতেমা চলে আসলো কলেজে ।

হেন্সি: কিরে ফাতেমা এতো দেরি করলি কেন রে । আজ কলেজের প্রথম দিন আর আজি তুই দেরি করলি? ???

ফাতেমার একমাত্র বেস্ট বান্ধবী হেন্সি । হেন্সি নামটা অদ্ভূত তাই না??? কারন সেও একসময় কম আধুনিক ছিলো না । ফাতেমার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর সেও হেদায়েতের ছায়া তলে আসতে শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ।

ফাতেমা : আরে আর বলিস না, মা না খাইয়ে ছাড়তেই চাচ্ছিলো না । তো এখানেই দেরি হয়ে গেছে । আর রাস্তায় ………

হেন্সি : রাস্তায় কি?????

ফাতেমা : বাদ দে ।

হেন্সি : আরে বল না???

ফাতেমা : আরেকটু হলেই একটি ছেলের গাড়ির নিচে চাপা পড়তাম। আল্লাহর রহমতে বেচেঁ গেছি

হেন্সি : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সত্যি????

ফাতেমা : বাহ্ হেন্সি তোর তো দেখি ভালোই উন্নতি হয়েছে !!!

হেন্সি: তুই তো শিখিয়েছিস যে কোন দু:সংবাদ শুনলে এটা বলতে হয় ।

ফাতেমা : তোর. দিন দিন উন্নতি দেখে মন ভরে যায় রে! !

হেন্সি : হুম…এতোদিন আমি অন্ধকারে দিলাম। তর জন্যই তো আলোর পথে আসতে পেরেছি রে ।

ফাতেমা : আমি তো কিছুই করি নি সব আল্লাহর ইচ্ছা । আমি তো উছিলা মাত্র।

ফাতেমা আর হেন্সি যখন কথা বলছিলো তখন ক্লাসের সবাই ফাতেমার দিকে বার বার দেখছিলো আর ওর পোষাক নিয়ে সবাই বলাবলি করছিলো ।

একটি মেয়ে তো তার বন্ধুদেরকে বলছিলো দেখ দেখ ক্ষেত একটা । কিসব পড়েছে । আজকালকার দিনে এই সব কেউ পরে নাকি । ভূতের মতো লাগছে । হাহাহিহাহাহা

হেন্সি: [কথাগুলো শুনে ] দাড়া দেখাচ্ছি মজা

ফাতেমা : আরে আরে কি করছিস দাড়া দাড়া । শান্ত হয়ে বস এখানে । এগুলো শুনতে শুনতে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে । আমার এগুলো শুনে খারাপ লাগে না । বরং ভালোই লাগে

হেন্সি: তুই কি রে….???? এগুলো শুনেও বলছিস ভালো লাগে । হে আল্লাহ

ফাতেমা নিকাবের আড়ালে আস্তে করে হাসতে থাকে

ফাতেমা : শোন সময় হোক ওরাও একসময় পর্দার গুরুত্ব বুঝতে পারবে । আমিই ওদেরকে বুঝাবো যেভাবে তোকে বুঝিয়েছি

এর মধ্যেই একজন স্যার ক্লাসে ঢুকলো । সবাই স্যারকে সালাম দিলো । স্যার সবাইকে বসতে বললো ।

ফাতেমা আর হেন্সি সামনের সিটে বসায় স্যারের নজর গিয়ে ঠেকলো ফাতেমার দিকে

স্যার:এই মেয়ে দাড়াও । কি নাম তোমার???

ফাতেমা : আসসালামুআলাইকুম স্যার । আমার নাম জান্নাতুল ফেরদৌস ফাতেমা।

ফাতেমা !!!!! ইয়াক কি গাইয়্যা নাম । সাথে সাথে বলে উঠলো ক্লাসের সবচেয়ে মর্ডান মেয়েটি । যার নাম রিয়া

রিয়া বড়লোকের মেয়ে এবং অতি আধুনিক

রিয়ার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো । হাহাহাহিহাহাহাহ

থামো সবাই!!! স্যার সবাইকে চুপ করতে বললেন

স্যার: মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর নাম মা । তা মা এতো গরমের মধ্যে এরকম পোষাক পরেছো তোমার গরম লাগে না মা? ????

স্যারটি ফাতেমার বাবার বয়সি হবে তাই তিনি ফাতেমাকে মা বলে ডাকলেন ও সম্মান দিলেন তাকে দেখে

ফাতেমা : জ্বি স্যার গরম তো একটু লাগেই কিন্তু………