
✨ গল্পের নাম:ভুলনা আমায় 1,2,3
By মেঘাদ্রিতা_মেঘা
🌙 Romance
🧠 Self-help
💛 Islamic
📘 Story
সম্পূর্ণ গল্প পড়তে চান?
Click here to read the full story.আমার গায়ে হলুদের দিন সকালে খবর আসে ছেলের শরীরে প*ক্স উঠেছে।আর যেমন তেমন প*ক্স না,সারা শরীর ভরে গেছে প*ক্স দিয়ে।সব থেকে বেশি উঠেছে মুখে।তাই বিয়ের ডেট টা পেছানো হয়।
ছেলে প্রবাসী তাই ছুটিও কম,তাই কোন রকম সুস্থ হতেই ওই বাসায় থেকে কিছু দিন পর লোকজন আসে আবার বিয়ের ডেট ফেলতে।সাথে ছেলেও আসে।কিন্তু আমার বাবা মা থেকে শুরু করে প্রতিবেশী যারা ছিলো,সবাই আগে যেমন খুশি ছিলো ছেলেকে দেখে।
আজ তার পুরাই উল্টো।ছেলেকে দেখে সবাই কানাঘুষা করছে।
ছেলের মুখে এত্ত খারাপ ভাবে পক্সের দাগ বসে গেছে যা বলার মত না।মানে মুখ টাই যেন চেনা যায়না।
তাই আমার পরিবারের সবাই ডিসিশন নিলো বিয়েটা ভেঙে দিবে।
আর আশেপাশের সবাই তাই ই বল্লো।
বল্লো যে এর থেকে আরো অনেক ভালো ছেলে পাবে দ্রিতা।
না করে দিন তাদের।
কিছু ক্ষণ পর ছেলে পক্ষকে আমার আব্বু ডেকে নিয়ে বললেন,
আমার মেয়েকে আপনাদের ছেলের সাথে বিয়েটা দিতে পারছিনা বলে দুঃখীত।
কিছু মনে করবেন না।
আমার এত সুন্দর মেয়ে আপনাদের ছেলের সাথে যদি ওর বিয়ে দেই।
রাস্তা ঘাটে যেই দেখবে সেই নানান কথা বলবে।
লোকে হাসবে,
বলবে কি সুন্দর মেয়েটাকে কেমন একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে ওর বাবা মা।
আমাকে মাফ করবেন আপনারা।
এই বলে বিয়েটা ভেঙে দেন আমার বাবা।
ছেলে পক্ষের লোক যদিও বলেছেন,দেখেন এটা তো আমাদের ছেলে আর নিজে ইচ্ছে করে বানায়নি।
আল্লাহই তো দিয়েছে।
দেখেন এভাবে বিয়েটা ভাঙবেন না।
আমাদের মান সম্মানের ব্যাপার।লোকে কি বলবে।
তাছাড়া ছেলেটাকে সবাই যখন বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করবে,তখন ও কি বলবে?
কত ছোট হয়ে যাবে সবার সামনে ও।
আর সাথে আমরাও।এমন করবেন না ভাই।
কিন্তু আব্বু তাদের কোন কথা শোনেন নি।
পরে আমি সবার সামনে গিয়ে লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বললাম,
আব্বু আমি এই ছেলেকেই বিয়ে করবো।
আব্বু আমাকে ধমক দিয়ে বললেন,
তুমি বেশি বুঝো?
আমার কথার উপরে কথা বলো।
কি বুঝো তুমি?
কিছু বুঝো তুমি বিয়ে বা দুনিয়া সম্পর্কে?
আমি উত্তরে বলেছিলাম,
আব্বু,তার এই সমস্যা টা না হয়ে যদি আমার হতো,তখন ও কি এই ভাবে বিয়েটা ভেঙে দিতেন?
দিতেন নাতো।
তাহলে?
তাছাড়া বিয়ের পরেই যদি এমন হতো তাহলে কি আমাকে তাকে তা*লাক দিতে বলতেন?
বিয়ের পরও তো এমন হতে পারতো,তাইনা?
আমি আব্বু এই ছেলেকেই বিয়ে করবো।
আব্বু আমাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেন,সাথে আম্মুও।
কিন্তু আমি আমার কথায় অটল।
আমি এই ছেলেকেই বিয়ে করবো।
আমি সেদিন কল্পের চোখে জল দেখতে পেয়েছিলাম।
আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম,আমি বেঁচে থাকতে আর কোন দিন আপনার চোখে জল আসতে দিবোনা।আজ ই শেষ কান্না আপনার।
আম্মু আমাকে ফিসফিস করে বলে,আরেকবার ভেবে দেখলে ভালো হতোনা?
আমি উত্তরে বলেছিলাম,
আমার ভাবাভাবি শেষ।
বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করো।
কল্পের বাসার লোকজন পরের দিনই গায়ে হলুদ আর তারপরের দিনই বিয়ের ডেট ফাইনাল করে।
তাদের ভয়,যদি আমার মতও চেঞ্জ হয়ে যায়।
কল্পরা চলে যায়।
আমাকে এত ক্ষণে সবাই আবার বুঝানো শুরু করে দেয়,
কিন্তু আমি যা বলেছি তাই আমার ফাইনাল ডিসিশন বলে দেই সবাইকে।
পরের দিন আমার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়।
আমার বাসার মানুষ জন যখন কল্পকে হলুদ দিয়ে বাসায় এসেছে।
সবাই অনেক বাজে বাজে কথা বলেছে।
আমি এক কান দিয়ে শুনেছি,আরেক কান দিয়ে বের করে দিয়েছি।
আজ আমাদের বিয়ে।
কল্প আমার সাথে বিয়ের আগে একটু কথা বলতে চায়,
বাসায় থেকে অনুমতি দেয়া হয়।
আমি তখন বধূ সেজে বসে আছি।
আর কল্প এসে আমাকে বলে,
_আরেক টা বার ভেবে দেখলেও পারতেন।
আমি দেখতে কুৎসিত হয়ে গেছি।আমি আর আগের মত নেই।
চাইলে আপনি এখনো আপনার মত চেঞ্জ করতে পারেন।
প্লিজ যদি করুণা থেকে আপনি আমাকে বিয়েটা করতে চেয়ে থাকেন।
তাহলে বন্ধ করে দিন এই বিয়ে।
আমি করুণা নিয়ে বাঁচতে চাইনা।
_আমি শুধু একটা প্রশ্ন করবো।
_জ্বী করুন।
_আমাকে কি আপনার পছন্দ না?
_এসব কি বলছেন আপনি?আপনাকে আমি যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই আপনাকে আমার ভালো লেগে গিয়েছিলো।
তাইতো আপনার বাসায় প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম।
_তাহলে চুপ থাকুন।
যা হচ্ছে হতে দিন।
_কিন্ত..
_আর কিছু বলবেন?
বাসর ঘরে শুনবো,ওকে?
এবার যান।
কল্প আমার দিকে অসহায়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে যেতে লাগলো।
তারপর হঠাৎ কি যেন মনে করে পেছন ফিরে তাকিয়ে আমাকে বল্লো,
_শুনুন,আপনাকে না বধূর সাজে খুবই মায়াবী আর সুন্দর লাগছে।
মাশাআল্লাহ!
আমি একটা মুচকি হাসি দিলাম।
কল্প চলে গেলো বিয়ের আসরে।
আর অবশেষে হয়েও গেলো আমাদের বিয়ে।
বিয়ের পর আমি আম্মু আব্বু সবাইকে বিদায় জানিয়ে কল্পের সাথে কল্পদের বাসায় চলে আসি।
সবাই আমাকে বরণ করে নেয়।
কল্পদের বাসার সবাই অনেক খুশি আমাকে পেয়ে।
কল্পর বন্ধুরা সবাই গাদা এবং গোলাপ ফুল দিয়ে আমাদের বাসর ঘর সাজায়।
অনেক রাত হয়ে গেলে কল্পের ভাবী আমাকে কল্পের রুমে দিয়ে আসে।
আমি ফুলে সাজানো খাট টার মাঝ খানে গিয়ে বসি।
পাশেই ফুল দিয়ে লিখা আছে দ্রিতা+কল্প।
লিখাটা দেখে কেমন যেন একটা অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতি কাজ করছে।
আর তখনই কল্প রুমে প্রবেশ করলো।
সে রুমে ঢুকেই তার প্রথম কথা ছিলো,
_আচ্ছা আমি কি খাটে এসে বসবো?
নাকি ফ্লোরেই শুয়ে পড়বো?
না মানে অনেক রাত হয়েছেতো,আপনিও অনেক টায়ার্ড।
তাই বলছিলাম আরকি।
ঘুমিয়ে পড়ুন তাহলে।
আমিও ঘুমিয়ে পড়ি,কিন্তু কোথায় শুবো আমি?
আমি এবার প্রচুর রেগে গেলাম,
রেগে গিয়ে বললাম,
রুমের বাইরে গিয়ে ঘুমা তুই।
একদম রুমে ঢুকবিনা,একদম না।
কল্প এবার দৌড়ে আমার কাছে এসে বলে,
রাগ করেছো?
আচ্ছা সরি।
বসি তাহলে হুম?
_বাহ একবারে আপনি থেকে তুমি?
_তুমি যদি আপনি থেকে একবারে তুই ই নেমে আসতে পারো।
আমিতো সেখানে তুমি বলতেই পারি তাইনা?
_আমি লজ্জা পেয়ে বললাম,সরিইই!
কল্প আমার ডান হাত টা ওর বুকের মধ্যে শক্ত করে ধরলো।
আর বল্লো,
আমার জীবনে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ!
দেখতে দেখতে আমাদের বিয়ের ৬ মাস কেটে গেলো।
কল্প আবার বাইরে চলে গেছে।
কিন্তু সবাই আমাকে এ কয়দিনে জিজ্ঞেস করেছে আমাদের বেবী হয়নি কেন?নাকি বেবী নেইনি?
মানুষ জন না পারেও বটে।
দেখতে দেখতে কেটে যায় দু বছর।
দু বছর পর কল্প আবার দেশে ফিরেছে।
আমার কাছে এই দুইটা বছর দুইটা যুগ মনে হয়েছে।
আমরা এবার বেবী নেয়ার জান্য ট্রাই করছি,
কিন্তু কেন যেন হচ্ছেনা।
আমাদের বাসার লোকজন সবাই আমাকে বেবী নেয়ার কথা বলছে,
আমি তাদের বলেছি,আল্লাহ দিলে হবে।
আমি এবার খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম।
গত বারও হলোনা বেবী,
এবারও হচ্ছেনা।
কেন হচ্ছেনা,আল্লাহ কেন দিচ্ছেনা।
এখন লোকজন বলাবলি শুরু করেছে,পক্সের কারণে নাকি কল্পের প্রবলেম হয়েছে,তাই নাকি আমাদের বেবী হচ্ছেনা।
গ্রামের লোকজন পারেও বটে।
কি সব কুসংস্কার নিয়ে পড়ে আছে এরা।
কল্পকে একদিন একজন ডেকে বল্লো,
_ডাক্তার দেখাও মিয়া।
যদিই তোমার কোন সমস্যা থাইকা থাকে।
যে অসুস্থ হইছিলা তুমি।
কল্প বাসায় এসে আমাকে বলে,রেডি হও তো দ্রিতা।
ডাক্তারের কাছে যাবো।
আমি ভয় পেয়ে গেলাম,কি হয়েছে ওর জানতে চাইলাম।
ও বল্লো,কিছু হয়নি।
বেবীর জন্য ডাক্তার দেখাবো।
চলো যাই।
আমি বললাম,এত তাড়াহুড়োর কি দরকার?আল্লাহ যখন চাইবেন দিবেন।
কল্প বল্লো,তবুও ডাক্তার টা দেখাই চলো।
আমি আর কল্প ডাক্তারের কাছে গেলাম।
ডাক্তার আমাদের কিছু টেস্ট দিলেন,
টেস্ট গুলো করে আমরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।
_দ্রিতা!
_হুম,
_আচ্ছা,যদি শোনো আমি কখনো বাবা হতে পারবোনা।
তাহলে তুমি কি আমায় ছেড়ে চলে যাবে?
_ধুর কি সব যে বলো না তুমি।
দেখবে আমাদের কারোই কোন সমস্যা নেই।
এমনিতেই কনসিভ হচ্ছেনা।
পরে হবে বুঝেছো?আল্লাহ যখন চাইবেন।
আর আমি তোমায় কোন দিন ছেড়ে যাবোনা।রেজাল্ট যা ই হোক না কেন।
কোন দিন যাবোনা।
এরমধ্যে আমাদের রিপোর্ট চলে আসে।
আমরা রিপোর্ট গুলো নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই।
ডাক্তার রিপোর্ট গুলো হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে বলেন,
একটা ব্যাড নিউজ আছে।
চলবে..
ভুলনা_আমায়
মেঘাদ্রিতা_মেঘা
১ম_পর্ব
Sponsored

🛍️Carnatio Academy
nlock your potential with premium courses — now available at up to 50% off. Don't miss out!.
https://academy.carnationplus.in/
ভুলোনা_আমায়
মেঘাদ্রিতা_মেঘা
২য়_পর্ব
ডাক্তার রিপোর্ট গুলো হাতে নিয়ে দেখতে দেখতে বলেন,
একটা ব্যাড নিউজ আছে।
আমি কল্পর চোখের দিকে তাকাই,কল্পও আমার চোখের দিকে তাকায়।
তবে আমার কেন যেন মনে হচ্ছে কল্পের কোন সমস্যা নেই।যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে,সেটা আমারই হবে।কল্পের না।
আমি কল্পের হাত টা শক্ত করে ধরলাম।
ডাক্তার বললেন দ্রিতা,আপনার জ*রায়ুতে একটু সমস্যা আছে।
আর সেই জন্যই আপনার বেবী কনসিভ হচ্ছেনা।
আপনার হাজবেন্ডের সব রিপোর্ট নরমাল।তার কোন সমস্যা নেই।
তবে আপনার ট্রিটমেন্ট এখন থেকেই শুরু করতে হবে।
এখন থেকে ট্রিটমেন্ট শুরু না করলে আপনার জীবনও ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
আর আপনি তাহলে আর কোন দিন মা ও হতে পারবেন না।
কথা গুলো শুনে আমি কল্পের হাত টা ছেড়ে দিলাম।
কল্প আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো।
এবার ও নিজেই আমার হাত টা শক্ত করে ধরে ডাক্তারকে বল্লো,আপনি ওর ট্রিটমেন্ট এর ব্যবস্থা করুন।
আমরা এখন থেকেই শুরু করবো ওর ট্রিটমেন্ট।
আমরা ডাক্তারের রুম থেকে বের হলাম।
বের হয়েই আমি হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম।
কল্প আমাকে শক্ত করে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে বল্লো,
কিচ্ছু হবেনা তোমার।
সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে দেখো।
আমি কান্না করতে করতে কল্পকে বললাম,আমি কি মা হতে পারবোনা কল্প?
আমি কি তোমায় বাবা ডাক শোনাতে পারবোনা বলো?
_কে বলেছে তুমি মা হতে পারবেনা?
অবশ্যই পারবে।
আমরা দুজনই মা বাবা হবো।এবার তুমি একটু শান্ত হও।বাসায় যেতে হবে আমাদের।
আর খবরদার! বাসার কেউ যেন আজকের এই বিষয় টা সম্পর্কে না জানে।
তাহলে কিন্তু তোমার একদিন কি আমার একদিন।
চিকিৎসা করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে বুঝছো?
মন খারাপ করোনা।
কল্প আমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বাসায় নিয়ে আসে।
কিন্তু আমার মন তো মানেনা।
কেটে যায় কিছু দিন।
আমার ট্রিটমেন্ট চলছে।
আশেপাশের সবাই বলছে,সু খবর কবে পাচ্ছি?
আমি কোন উত্তর দিতে পারিনা।
কল্প আমাকে টাইম টু টাইম ওষুধ খাওয়ায়।
অনেক খেয়াল রাখে আমার।
একদিন রাতে কল্পকে আমি বলি,
_শোনো,
_হুম শুনছি।
_বলছিলাম কি, আর কত দিন আমার এই সমস্যার কথা তুমি সবার থেকে লুকোবে?
তাছাড়া একদিন না একদিন তো সবাই জানবেই।
_তত দিনে তুমি সুস্থ হয়ে যাবে।এত চিন্তা করোনাতো।
আমি চাইনা মানুষ তোমাকে নিয়ে কোন বাজে কথা বলুক।
আমি মানসিক আর শারিরীক ভাবে অসুস্থ বলে কল্প আরো কিছু দিনের ছুটি বাড়ায়।
যাতে আমার একটু ভালো লাগে।
দেখতে দেখতে আরো কিছু দিন কেটে গেলো।
আমার ট্রিটমেন্টের অনেক গুলো দিন হয়ে গেলো।
আজ ডাক্তার আবার কয়েকটা টেস্ট দিয়েছেন,জানতে যে ট্রিটমেন্ট এ আমার কতটা উন্নতি হয়েছে।
আমি টেস্ট গুলো করে কল্পের সাথে বাইরে অপেক্ষা করছি।
_কল্প!
_হুম।
_আজ যদি রিপোর্টে আসে আমি আর কোন দিন মা হতে পারবোনা।আর আমার সমস্যার কোন উন্নতি হয়নি।
বা যদি বলে আমি আর বেশি দিন বাঁচবোনা।
বাকি কথা গুলো কল্প আমাকে আর বলতে দেয়না।
ওর হাত দিয়ে আমার মুখ টা চেপে ধরে।
আর বলে,
আমার বাচ্চা কাচ্চা লাগবেনা কলিজা।
তুমি আর আমি বাচ্চা ছাড়াই বাকি জীবন কাটিয়ে দিবো।
আমার তুমি থাকলেই হবে।
আমার আর কিচ্ছু চাইনা।
আমি সেদিন বুঝেছিলাম,কল্প আমাকে কতটা ভালবাসে।
কিন্তু আমি জানি,কল্পের বাবা হবার অনেক শখ।আর প্রতিটা ছেলের ই এই ইচ্ছেটা থাকে।কেউ তাকে বাবা ডাকবে।
তাছাড়া কল্প বাচ্চাদের খুব ভালবাসে।
আর আমার কারণে যদি ও বাবা ডাক থেকে বঞ্চিত হয়,তবে আমি সেটা মানবো কি করে।
এসব ভাবতে ভাবতে রিপোর্ট চলে আসে।
আমরা রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই।
ডাক্তার আমাদের বসতে বলেন।
তিনি রিপোর্ট গুলো দেখছেন।
রিপোর্ট গুলো দেখা শেষ হলে তিনি একবার কল্পের দিকে তাকান,আরেকবার আমার দিকে তাকান।
আমি ডাক্তারকে বলি,
রিপোর্টে কি এসেছে ম্যাম?
তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,
কথাটা কিভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা।
তবে তুমি চাইলে এখন মা হতে পারো।
কিন্তু..
কল্পঃকিন্তু কি ডাক্তার?
ডাক্তারঃ মিঃ কল্প!আপনি যদি সন্তান চান তাহলে দ্রিতার জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
তবে ও এখন চাইলেই সন্তান নিতে পারবে।
কিন্তু যদি আপনি ওকে বাঁচাতে চান।ওকে পুরোপুরি সুস্থ দেখতে চান।
তাহলে ওর জ*রায়ু টা কে*টে ফেলে দিতে হবে।অতি শীঘ্রই একটা অপারেশন করতে হবে।
তাহলে আপনার স্ত্রী বেঁচে যাবে,পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।কিন্তু কোন দিন আর মা হতে পারবেনা।
আর যদি অপারেশন না করেন,তাহলে আপনার স্ত্রী ধীরেধীরে মৃত্যুর দিকে এগুতে থাকবে।
এখন আপনার উপর সব কিছু মিঃ কল্প!
আপনি কি চান।
স্ত্রী নাকি সন্তান।
কল্প আমার হাতটা শক্ত করে মুঠোবন্দি করে ধরে,
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এক নিশ্বাসে বলে দেয়,
_ডাক্তার আমার আমার স্ত্রীকে লাগবে।
আপনি অপারেশনের ব্যবস্থা করুন।
আমি এই মুহূর্তটাতে কোন কথাই বলতে পারছিলাম না।
আমার চোখ থেকে শুধু টপটপ করে পানি পড়ছিলো।
আর আমি ভাবছিলাম,
এই মানুষ টা আমাকে এত ভালবাসে কি করে?
ডাক্তার আমাদের বল্লেন,
আপনারা আগামী পরশুদিন আসুন।
আমি তাহলে সব ব্যবস্থা করে রাখবো।
আর দ্রিতা তুমি এই ওষুধ গুলো এই কয়দিন নিয়মিত খেও কেমন?
কল্পঃতাহলে আমরা আসি ডাক্তার।
আসসালামু আলাইকুম!
ডাক্তারঃওয়ালাইকুম আসসালাম।
আমি স্তব্ধ হয়ে যাই।
কল্প আমাকে ধরে বাসায় নিয়ে যায়।
আমার শশুড় বাড়ীর লোক জন কল্পকে জিজ্ঞেস করে আমার কি হয়েছে।
কল্প বলে একটু শরীর খারাপ লাগছে ওর।
রাত হয়ে যায়।
আমি সবার সাথে বসে খেতে যাইনা বলে কল্প আমার জন্য প্লেটে করে খাবার নিয়ে আসে।
_এই যে বউটা!
তাড়াতাড়ি উঠে বসো,খেয়ে তারপর ঘুমিওনে।
_আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা কল্প!
_আমি নিজ হাতে খাইয়ে দিবো আমার বউটাকে,তবুও খেতে ইচ্ছে করবেনা?
আমি শোয়া থেকে উঠে বসে কল্পকে জড়িয়ে ধরলাম।
আর কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলাম,
আমার সাথেই কেন এমন হলো কল্প?
আমি তো ছোট্ট একটা রাজকন্যার স্বপ্ন দেখেছিলাম।
যার চোখ হবে তোমার মত।
হাসি হবে তোমার মত।
নাক টাও হবে তোমার মত।
শুধু ঠোঁট হবে আমার মত।
তাহলে কেন আমার সাথে এমন হলো?
আমার স্বপ্ন কি পূরণ হবেনা বলো?
আমি কিভাবে নিজের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে তোমার আর আমার স্বপ্ন ধ্বংস করবো?
আমি পারবোনা।
আমি যাচ্ছিনা হসপিটালে।
আমি মা হবো।
আমার একটা মেয়ে লাগবে কলিজা।
আমাদের মেয়ে।
তোমার আমার মেয়ে।
_দ্রিতা,এমন করেনা।
আমরা একটা বাচ্চা এডপ্ট করবো হুম?
কত মানুষেরই তো বাচ্চা হয়না।
তারা কি সুখে আছেনা?
আমরাও সুখে থাকবো।
পারবেনা আমায় নিয়ে কাটিয়ে দিতে সারাটা জীবন?আমি শুধু তোমাকে চাই দ্রিতা।
আমার আর কিচ্ছু লাগবেনা।
কল্প আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে আর কথা গুলো বলছে।
আমিও কাঁদছি, আর ভাবছি ওর মত জীবন সঙ্গী পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।
_শোনো,আমরা যে অপারেশন করবো এটা কাউকে বলবেনা।আমি যখন আরেকবার দেশে আসবো,তখন যা বলার বলবো আমি সবাইকে।
এখন কিছু বলার দরকার নেই কাউকে ঠিক আছে?
অপারেশন হয়ে গেলে ৩ /৪ দিন তুমি আমি হসপিটালেই থাকবো।
তারপর আমরা তোমাদের বাসায় যাবো।
তুমি একটু সুস্থ হলে তারপর এই বাসায় আসবো।কেমন?আম্মুকে বলে যাবো তোমাদের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি।
হসপিটালের কথা কেউ যেন না জানে।
এবার খাবে আসো।
কল্প আমাকে জোর করে নিজে হাতে খাইয়ে দেয়।
এরপর ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমরা হসপিটালে যাই।কল্প ওর বাসায় বলে যায় আমরা আমাদের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি।
হসপিটালে বসে আছি আমরা।ডাক্তার আমাকে ডাকছেন।
_কল্প!
আমি কি সত্যিই যাবো?
তুমি কি ভেবে দেখেছো ভালো মত,
আজকের পর আমি আর…
_চুপ,কিছু বলতে হবেনা।
আমার শুধু তোমাকেই তোমাকেই লাগবে।
ভয় পেওনা হুম।
সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমি ডাক্তারের কাছে যাবার আগে কল্পকে একবার শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
কল্প আমার কপালে চুমু খেয়ে বল্লো,ভালবাসি।
কল্প আবার দেশের বাইরে চলে গেছে।
এর মাঝে কেটেও গেছে অনেক গুলো দিন।আমিও আছি আমার মত।কল্প প্রতিদিন আমাকে ফোন দেয়,আমার খোঁজ খবর নেয়।আমাকে শান্তনা দেয়,আমাকে বুঝায়।আর বলে,খবরদার কেউ যেন কিছু না জানে,আমি না আসা পর্যন্ত।
এরপর হঠাৎ একদিন কল্পর মা কল্পকে ফোন দেয়।
আর কল্প তার ফোন রিসিভ করতেই সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায়।
চলবে?
Sponsored

🛍️Carnatio Academy
nlock your potential with premium courses — now available at up to 50% off. Don't miss out!.
https://academy.carnationplus.in/
ভুলোনা আমায়
মেঘাদ্রিতা_মেঘা
৩য়_পর্ব
এরপর হঠাৎ একদিন কল্পর মা কল্পকে ফোন দেয়।
আর কল্প তার ফোন রিসিভ করতেই সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায়।
কল্প ডিউটিরত অবস্থায় ছিলো,আর তখন আম্মু(শাশুড়ী মা) ওকে ফোন দিয়ে বলেন,
_তোরা কিভাবে আমাদের কাছ থেকে এত বড় কথা টা লুকালি?
আমি তোর মা।আমার কি জানার কোন হক নেই?
আর সবার কথা না হয় বাদই দিলাম।কিন্তু আমাকে তো অন্তত একবার জানানো উচিৎ ছিলো।
_আসলে আম্মু,হয়েছে কি।
_থাক আর কিচ্ছু বলতে হবেনা,আমি কি আপন নাকি যে আমাকে বলা লাগবে।
আমি কে, যে আমার কাছে কিছু বলবি।
_আচ্ছা আম্মু,দ্রিতা তোমায় সব বলেছে না?
_না ও বল্লেও তো বুঝতাম।তুই বলিসনি,কিন্তু ও তো বলেছে।
কিন্তু না ও নিজেও কিছু বলেনি। বরং আমাদের থেকে লুকিয়ে রেখেছে।
আচ্ছা তোদের সন্তান কি আমাদের কিছুই না?
তোদের সন্তান আমাদের কি রক্ত না?
কেন লুকালি আমাদের থেকে এত বড় খুশির কথা?
_মানে?
কি বলছো তুমি?
_কি বলছি মানে?আমি যে দাদু হবো এটা কেন তোরা লুকালি আমার থেকে?
আমাদের সবার থেকে?
এত বড় খুশির কথা কেউ কখনো লুকায়?
আমি আজ তোর ছোট আপুকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলাম,দ্রিতাও আল্ট্রা সনোগ্রাফি করে বের হচ্ছিলো।
আর তখনই সব জানতে পারি।আমাদের ঘরে যে নতুন অতিথি আসতে চলেছে।
এ কথা শোনা মাত্রই কল্প সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায়।
পরে ওর সাথে যারা কাজ করছিলো সবাই ওকে ধরাধরি করে নিয়ে বেডে শোয়ায় আর মাথায় পানি দেয়।
কিছু ক্ষণ পর ওর জ্ঞান ফিরে।
ওর যখন জ্ঞান ফিরে তখন ও এক মিনিট ও দেরি না করে আমাকে ফোন দেয়।
আমি রিসিভ করতেই,
_দ্রিতা,কি শুনলাম আমি এটা?
_কি শুনেছো?
_তুমি নাকি মা হতে যাচ্ছো?
চুপ করে আছো কেন,উত্তর দাও।
_হ্যাঁ,আর তুমি বাবা।
_কিন্তু কিভাবে সম্ভব, আমাকে বলবে একটু?
তাহলে কি সেদিন তুমি..
_হ্যাঁ সেদিন আমি অপারেশন করিনি।
সেদিন যখন ডাক্তার আমাকে অপারেশন এর জন্য ডাকলেন,তখন আমি ডাক্তারকে মিনতি করে বললাম,আমি এই অপারেশন টা করতে চাইনা ম্যাম।
আমি মা হতে চাই।
এতে যদি আমার জীবন ও চলে যায় যাক।
তবুও আমি মরে শান্তি পাবো।
আর আজ যদি এই অপারেশন করি, তাহলে যত দিন বেঁচে থাকবো,প্রাণহীন বেঁচে থাকবো।
এভাবে আমি বাঁচতে চাইনা ম্যাম।
আমি আজ এখানে এসেছি শুধু মাত্র কল্পের জন্য।
আমার অপারেশনের কোন ইচ্ছে নেই ম্যাম।
আল্লাহ যদি চান তাহলে আমি এবারই মা হতে চাই।
আর প্লিজ একটা অনুরোধ।
আমি যে অপারেশন করিনি।।এ কথা যেন কল্প না জানে।
ডাক্তার প্রথমে এসবে রাজি হননি।
কিন্তু যখন আমি কান্না করে ডাক্তারের পা ধরতে যাই।
ডাক্তার তখন আমার কথায় সায় দেন।
আর বলেন,
আসলেই,মায়েরা সব পারে সন্তানের জন্য।
আজ প্রমাণ ও পেলাম।
আল্লাহ এমন কোন মিরাকেল করুন যাতে তুমি মা ও হতে পারো।
আর তোমার কোন ক্ষতিও না হয়।
দোয়া রইলো।
আর এও বললেন,যদি তুমি এবার মা না হতে পারো।
তাহলে কিন্তু অবশ্যই তোমার বর চলে যাবার পর তুমি আমার সাথে দেখা করবে।
যদি তখন তোমার অবস্থার আরো অবনতি দেখি,তাহলে আমি তখনই অপারেশন করবো।
আমি তোমার কথা রাখলাম,তবে আমার কথাও তোমার রাখতে হবে।
আমি তখন ডাক্তারের কথায় সায় দিলাম।
কিন্তু আল্লাহ চাইলে কিনা পারেন বলো,
আল্লাহর রহমতে তুমি চলে যাবার দুইদিন আগেই আমি জানতে পারি আমি মা হতে চলেছি।
তোমার মনে আছে?
ওই যে আমি একদিন তোমার শার্টটা বুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলাম।
আর তুমি হঠাৎ করে এসেই আমাকে কাঁদতে দেখে বলেছিলে,
আমি চলে যাচ্ছি বলে কাঁদছো?
এরপরের বার একবারে চলে আসবো তোমার কাছে।
তখন আর এই ভাবে কাঁদতে হবেনা আমার লক্ষী বউ এর।
আসলে সেদিন আমি, তুমি চলে যাবে বলে কাঁদছিলাম না,
আমি কাঁদছিলাম,
সেদিন আমি প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম আমি মা হতে যাচ্ছি।
সেদিন প্রেগন্যান্সির টেস্ট কিটে দুটো লাল দাগ উঠেছিলো।
কিন্তু আমি এই খুশির সংবাদ টা তোমায় দিতে পারিনি।
তাই কাঁদছিলাম।
কারণ আমি তোমায় যদি বলতাম আমি প্রেগন্যান্ট।
তাহলে তুমি হয়তো,
কষ্ট হলেও আমাদের বাচ্চাটাকে রাখতে দিতেনা আমাকে,
আমাকে হারানোর ভয়ে।
তাই হয়তো আমাকে Abortion ও করতে বলতে।
আর আমি মা হয়ে তা কোন দিনও পারতাম না।
কারণ আমার কাছে আমার জীবনের চেয়ে ওর জীবনের মূল্য টাই বেশি।
তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ।
আমি তোমার সাথে অন্যায় করেছি।
ক্ষমা করে দাও আমায়।
_কেন করলে তুমি এমন?
এখন যদি তোমার কিছু হয়ে যায় আমি কি নিয়ে বাঁচবো?
কেন এত বড় একটা সিদ্ধান্ত একা একা নিতে গেলে তুমি?
তুমি জানো,আম্মুর মুখে এই নিউজ শুনে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
শুধু মাত্র এটা ভাবতে ভাবতে,যদি আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলি।
আমি কিভাবে বাঁচবো?
_কি অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা তাইনা কল্প?
যেখানে তোমার আজ খুশিতে আত্মহারা হবার কথা সেখানে তুমি কাঁদছো।
শোনো,কান্না করোনা হুম।
আমি তোমায় অতি শীঘ্র একটা ছোট্ট কল্প নয়তো ছোট্ট দ্রিতা উপহার দিবো।
আমার কথা শুনে কল্প আরো জোরে জোরে কান্না করছে।
_শোনো,ডাক্তার কি বলেছে তোমাকে হুম?
কোন সমস্যা হচ্ছে তোমার?
কষ্ট হয়?
_ডাক্তার রেগুলার চেকাপে রেখেছেন।
কষ্ট তেমন একটা হয়না,মাঝে মাঝে সামান্য পেটে ব্যথা হয় আরকি।
ও কিছুনা।
আমি ঠিক আছি।
তুমি একদম চিন্তা করোনা হুম।
_আচ্ছা ঠিক আছে একটু রেস্ট করো তাহলে।
_আচ্ছা তুমিও সাবধানে থেকো কেমন?
_আচ্ছা।
আমি একা আনমনে ভাবতে থাকি।
আমি কত ভাগ্যবতী।
এমন বর পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।
কল্প আমাকে কত ভালবাসে।
আমার শশুরবাড়ীর লোকজনও ভীষণ ভালো।
তারাও আমাকে অনেক ভালবাসেন।
বিশেষ করে আম্মু,(শাশুড়ী মা)
আর ছোট ভাই(দেবর)
আমি প্রেগন্যান্ট জানার পর থেকে তারা আমাকে খুব যত্ন করেন।
আম্মু আমাকে কিছুই করতে দেন না এখন।
আমাকে শুধু বলেন,আমি যেন সাবধানে হাঁটাচলা করি।
আর আমাকে অভিমান করে বলেন,
আমাকেও জানালেনা তুমি।
খুব কষ্ট পেয়েছি আমি।
আমি জড়িয়ে ধরে আম্মুকে বলি,
আমি তো সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম আম্মু।
ভেবেছিলাম আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে এসেই জানাবো।
কিন্তু তার আর সুযোগ পেলাম কই।
জেনেই গেলেন একা একা।
আম্মুও আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন,এবারের মত মাফ করে দিলাম।
পরের বার যেন এমন ভুল না হয়।
_পরের বার আমিই হয়তো আর থাকবোনা আম্মু।
_মানে?
_ধ্যাত! কি বলতে কি যে বলি আম্মু।মাথা টাই একদম গেছে আমার।
_দ্রিতা!বেয়াইন রা জানেন কিছু?
_না আম্মু,কেউ কিছু জানেননা।
_আচ্ছা তোমার ফোন টা আনো দেখি।
_কেন আম্মু?
_আরে আনো তো।
_এই যে আনলাম।
_এবার তোমার মাকে কল দিয়ে আমার কাছে ফোন টা দাও।
_এই যে নিন আম্মু।
আমি কল দিয়ে দেই।
আম্মু ফোন রিসিভ করতেই এই পাশ থেকে আমার এই আম্মু বলেন,
_আসসালামু আলাইকুম বেয়াইন আপা।
কেমন আছেন?
_জ্বী আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
আপনি কেমন আছেন?
_ভালো আর থাকতে দিলেন কই,
_কেন আপা?কি হয়েছে?
_যে মেয়ে পাঠিয়েছেন আমার ঘরে।
এই মেয়ের জন্য ভালো থাকা যায়?
_কি বলেন আপা,দ্রিতা কিছু করেছে?
_কি করেনি তাই বলেন।
_কি হয়েছে আপা খুলে বলুন তো।
_আপনি বাসার সবাইকে নিয়ে এখনই আমাদের বাসায় আসুন।
যা বলার সামনাসামনি বলবো।
_আপা কি হয়েছে এখনই বলুন না।
দ্রিতা কোন অন্যায় করেছে?
করে থাকলে ছোট মানুষ মাফ করে দিন না আপা।সবাইকে নিয়ে আসা লাগবেনা।
আমি ওকে পরে বুঝিয়ে বলবো।
দ্রিতা কে একটু ফোন টা দেয়া যাবে?
_না দেয়া যাবেনা।আমি কিছু জানিনা,এখনই আসবেন আপনারা আমাদের বাসায়।যা বলার সামনাসামনি বলবো আমি।
ফোন রাখছি আমি এখন।
এই বলে আম্মু ফোন রেখে দেন।
_এটা কি করলেন আম্মু?এবার তো সবাই ভয় পেয়ে যাবে।
ভাব্বে,না জানি করেছি আমি।
_আরে কিছু হবেনা।
দেখোনা,উনারা কত দিন যাবত আসেন না।এভাবে না বল্লে আসতেন না।
আজ সবাই ঠিকই আসবেন দেখো।
তুমি একটু রেস্ট নাও।
আমি সবার জন্য রান্নার ব্যবস্থা করি।
আজ সবাই মিলে এক সাথে খাবো।
কত ভালো আম্মু।
কত খুশি।
আমাদের বাসার সবাইও কতই না খুশি হবে আজ।
আমার সবাই কে নিয়ে খুব বাঁচতে ইচ্ছে করে।
খুব।
কিছুক্ষণ পরই আমার বাসার সবাই চলে আসেন।
ভয়ে তারা দৌড়ে আমার কাছে আসেন।
কি করেছি জানতে।
পরে আম্মু (শাশুড়ী মা) সবাইকে বলেন,
দ্রিতা মা হতে যাচ্ছে।
আর বলেন,ক্ষমা চাচ্ছি সবাইকে এইভাবে আসতে বলায়।
নয়তো কখনোই আসতেন না আজ আপনারা।
তারপর সবাই ভয় কাটিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন।
সবাই অনেক খুশি।
আর বকাও দেয় আমায় সবাই।
কেন আমি কাউকে বলিনি।
সবাই মিলে এক সাথে হাসাহাসি করছে।
কত্ত খুশি সবাই।
এর মধ্যেই হঠাৎ করে কলিং বেলের আওয়াজ।
আমি গিয়ে গেইট খুলতেই দেখি…
চলবে?
সম্পূর্ণ গল্প পড়তে চান?
Click here to read the full story.
Post Views: 19