Avengers

✨ সিক্রেট ওয়ার 1,2,3

By MARVEL

🌙 মান্টিভার্সের ধ্বংস 🧠 ব্যাটলওয়ার্ল্ডের জন্ম! 💛 বিদ্রোহের সূচনা! 📘 ক্লাইম্যাক্সের দিকে

সম্পূর্ণ গল্প পড়তে চান?

Click here to read the full story.
আকাশটা লাল। যেন কেউ রক্ত ছড়িয়ে দিয়েছে দিগন্ত জুড়ে। দূরে, দুটো পৃথিবী ধীরে ধীরে একে অপরের দিকে এগিয়ে আসছে। মাটি কাঁপছে, বাতাসে অদ্ভুত একটা শনশন শব্দ। এটা কোনো সাধারণ দিন নয়। এটা মার্ভেল মাল্টিভার্সের শেষ দিন। সিক্রেট ওয়ারের প্রথম ভাগ শুরু হয় এমন একটা মুহূর্ত দিয়ে, যেখানে সবকিছু ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এই গল্পে সুপারহিরোরা তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় লড়াইয়ে নামছে, কিন্তু এবার জয়ের কোনো নিশ্চয়তা নেই। চলো, এই মহাকাব্যের প্রথম অধ্যায়ে ডুব দেওয়া যাক।
আর্থ-১৬১০। আলটিমেট ইউনিভার্স। এখানকার স্পাইডার-ম্যান, পিটার পার্কার, তার ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে। আকাশের লাল আভা তার মুখে পড়ছে। তার পাশে মে আন্টি, ভয়ে কাঁপছে। পিটার জানে, সময় ফুরিয়ে আসছে। এই ইউনিভার্সে সবাই একটা কথা বলছে: ইনকার্শন। দুটো সমান্তরাল পৃথিবী একে অপরের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। আর এই ধাক্কার ফল? পুরো জগৎ ধ্বংস।
এদিকে, আলটিমেট আয়রন ম্যান, টনি স্টার্ক, তার ল্যাবে বসে শেষবারের মতো একটা জাহাজ তৈরির চেষ্টা করছে। এটা কোনো সাধারণ জাহাজ নয়। এটা একটা লাইফবোট, যেটা কিছু মানুষকে বাঁচিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই জাহাজে জায়গা খুবই কম। টনি তার বন্ধু ক্যাপ্টেন আমেরিকার দিকে তাকায়। দুজনের চোখে একই প্রশ্ন, কাকে বাঁচাবো? কাকে ফেলে যাবো?
আলটিমেট ইউনিভার্সের আরেক কোণে, রিড রিচার্ডস, যাকে এখানে বলা হয় মেকার, একটা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই রিড আর আমাদের চেনা মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক নয়। সে একজন সুপারভিলেন, যার মাথায় শুধু নিজের বেঁচে থাকার চিন্তা। তার ল্যাবে অদ্ভুত যন্ত্রপাতি আর বিজ্ঞানের সীমা ছাড়ানো পরীক্ষা চলছে। মেকার জানে, ইনকার্শনের হাত থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। তবু সে হাল ছাড়েনি। তার চোখে একটা পাগলামি, যেন সে এই ধ্বংসের মধ্যেও কিছু একটা খুঁজে পেয়েছে।
কিন্তু সময় ফুরিয়ে যায়। আলটিমেট ইউনিভার্সের সুপারহিরোরা তাদের লাইফবোটে উঠে পড়ে। পিটার তার আন্টিকে জড়িয়ে ধরে। টনি হেলমেটটা মাথায় দিয়ে শেষবারের মতো তার শহরের দিকে তাকায়। কিন্তু তারা যেই জাহাজটা ছাড়তে যাবে, আকাশটা ভেঙে পড়ে। দুটো পৃথিবীর সংঘর্ষ শুরু হয়। আলোর একটা ঝলক, আর তারপর সবকিছু অন্ধকার। আর্থ-১৬১০ শেষ।
এদিকে, আর্থ-৬১৬-এ, আমাদের চেনা মার্ভেল ইউনিভার্সে, একই ট্র্যাজেডি চলছে। রিড রিচার্ডস, মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক, তার ব্যাক্সটার বিল্ডিংয়ের ল্যাবে বসে একটা লাইফবোট তৈরির কাজ করছে। তার পাশে সু স্টর্ম, জনি স্টর্ম, আর বেন গ্রিম। ফ্যান্টাস্টিক ফোরের এই পরিবারটা জানে, এটা তাদের শেষ সুযোগ। রিডের চোখে মুখে ঘাম, তার হাত কাঁপছে। সে শুধু নিজের জগৎ বাঁচাতে চায় না, তার পরিবারকেও বাঁচাতে চায়। কিন্তু লাইফবোটে জায়গা সীমিত। কাকে নেবে? কাকে ছাড়বে? এই প্রশ্ন তাকে ভিতর থেকে খুঁড়ে খাচ্ছে।
অ্যাভেঞ্জার্সও তাদের শেষ লড়াইয়ে নেমেছে। টনি স্টার্ক, ক্যাপ্টেন আমেরিকা, থর, আর হকআই একসাথে মিলে একটা শেষ পরিকল্পনা করছে। তারা জানে, ইনকার্শনের কারণ বিয়ন্ডারদের শক্তি। এই দেবতুল্য প্রাণীদের শক্তি এতটাই ভয়ঙ্কর যে তাদের সামনে সুপারহিরোরাও অসহায়। তবু তারা লড়ছে। কারণ এটাই তাদের কাজ।
এই সময় একটা নতুন চরিত্র মঞ্চে আসে। ডক্টর ডুম। লাটভিয়ার এই সুপারভিলেন সবসময় বিশ্বাস করে, সে-ই একমাত্র যে পৃথিবীকে বাঁচাতে পারে। তার পাশে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, মিস্টিক আর্টসের মাস্টার। ডুমের মাথায় একটা পরিকল্পনা। সে বিয়ন্ডারদের শক্তি ব্যবহার করে মাল্টিভার্সের টুকরোগুলো জড়ো করে একটা নতুন জগৎ তৈরি করতে চায়। স্ট্রেঞ্জ তার সাথে জোট বাঁধে, কিন্তু তার চোখে একটা রহস্য। সে কি সত্যিই ডুমের পাশে, নাকি তার নিজের কোনো গোপন প্ল্যান আছে?
আর্থ-৬১৬-এর সুপারহিরোরা তাদের লাইফবোটে উঠে পড়ে। রিড তার পরিবারকে নিয়ে জাহাজে ওঠে। টনি তার বন্ধুদের দিকে তাকায়, তার বুকের ভেতরটা ভারী হয়ে আসে। কিন্তু তারা যেই পালাতে যাবে, সেই মুহূর্তে আকাশ ভেঙে পড়ে। দুটো পৃথিবী একে অপরের সাথে ধাক্কা খায়। একটা বিশাল আলোর ঝলক, আর তারপর সবকিছু অন্ধকার। আর্থ-৬১৬ শেষ।
কিন্তু গল্প এখানে শেষ নয়। ডুম আর স্ট্রেঞ্জের পরিকল্পনা কাজে লেগেছে। মাল্টিভার্সের টুকরোগুলো থেকে একটা নতুন জগৎ তৈরি হয়েছে। এই জগতের নাম ব্যাটলওয়ার্ল্ড। কিন্তু এই নতুন জগৎ কী আদৌ নিরাপদ? নাকি এটা ডুমের আরেকটা খেলা? এই প্রশ্ন নিয়েই শেষ হয় সিক্রেট ওয়ারের প্রথম ভাগ।
আকাশটা অদ্ভুত। লাল নয়, নীলও নয়। যেন কেউ অসংখ্য জগতের রং মিশিয়ে একটা নতুন আলো তৈরি করেছে। দূরে একটা সূর্য জ্বলছে, কিন্তু তার আলোয় উষ্ণতার বদলে একটা শীতলতা। এই জগৎ মরুভূমির পাশে বরফের পাহাড়, মধ্যযুগীয় দুর্গের পাশে ভবিষ্যতের ধাতব শহর নিয়ে গঠিত। এটা ব্যাটলওয়ার্ল্ড। মাল্টিভার্সের ধ্বংসের ধুলো থেকে জন্ম নেওয়া এক অদ্ভুত জগৎ, যেখানে প্রতিটা পাথর, প্রতিটা গাছ যেন হারিয়ে যাওয়া জগতের স্মৃতি বহন করে। আর এই জগতের সিংহাসনে, ধাতব মুখোশের আড়ালে, বসে আছে ডক্টর ডুম। তার হাতে অসীম ক্ষমতা, তার চোখে দেবতার দৃষ্টি। কিন্তু এই শান্তির নিচে, এই নিয়মের আড়ালে, একটা ঝড় জমছে। সিক্রেট ওয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা ঢুকে পড়ি এই নতুন জগতের গল্পে, যেখানে সুপারহিরোরা হারানো স্মৃতি নিয়ে জেগে উঠছে, আর ডুমের শাসনের ফাটলে বিদ্রোহের বীজ রোপিত হচ্ছে।
মাটিতে পড়ে থাকা ধুলোর মধ্যে একটা শরীর নড়ে ওঠে। রিড রিচার্ডস, মিস্টার ফ্যান্টাস্টিক, ধীরে ধীরে চোখ খোলে। তার মাথা ভারী, শরীরে ব্যথা। চারপাশে অচেনা দৃশ্য। দূরে একটা ভাঙা টাওয়ার, যেন তার ব্যাক্সটার বিল্ডিংয়ের ছায়া। কিন্তু এটা তার নিউ ইয়র্ক নয়। আকাশে অদ্ভুত আলো, মাটিতে অচেনা গন্ধ। রিডের মনে প্রশ্নের ঝড়: আমি কোথায়? সু? জনি? বেন? তার পরিবার কোথায়?
কিছুদূরে, একটা ছোট্ট পাহাড়ের ওপর, ব্ল্যাক প্যান্থার ওরফে টি’চাল্লা দাঁড়িয়ে। তার কালো পোশাক ধুলোয় মাখা, কিন্তু চোখে সেই একই দৃঢ়তা। তার পাশে ক্যাপ্টেন মার্ভেল, ক্যারল ড্যানভার্স। তার মুখে বিস্ময় আর ক্রোধ মিশে আছে। তারা দুজনেই মনে করার চেষ্টা করছে, কীভাবে তারা এখানে এলো। মাল্টিভার্সের ধ্বংসের সেই শেষ মুহূর্ত, লাইফবোটে ওঠার সেই ক্ষণ, আর তারপর অন্ধকার। কিন্তু এখন তারা এই অদ্ভুত জগতে।
এই জগৎ ব্যাটলওয়ার্ল্ড। ডক্টর ডুমের সৃষ্টি। তিনি এখানে ঈশ্বর। তার মুখোশের পেছনে একটা হাসি, যেন তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার সিংহাসন ঘিরে আছে থর কর্পস, অসংখ্য থরের সমন্বয়ে গঠিত এক সেনাবাহিনী। প্রত্যেক থরের হাতে মজলনির, আর তাদের কাজ ডুমের আদেশ পালন করা। ডুমের পাশে দাঁড়িয়ে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, মিস্টিক আর্টসের মাস্টার। তার চোখে একটা রহস্য, যেন তিনি ডুমের সাথে আছেন, কিন্তু পুরোপুরি নন।
রিড, টি’চাল্লা, আর ক্যারল একটা ভাঙা গ্রামের কাছে আশ্রয় নেয়। গ্রামের মানুষ তাদের দিকে ভয়ে তাকাচ্ছে। এখানে সবাই জানে, ডুমের নিয়ম ভাঙার মানে মৃত্যু। কিন্তু ক্যারলের মনে ভয় নেই। সে একজন মানুষকে জিজ্ঞেস করে, এটা কোন জগৎ? মানুষটি ফিসফিস করে বলে, ব্যাটলওয়ার্ল্ড। এখানে ডুমই সব। তার কথার মাঝে একটা আতঙ্ক, যেন সে জানে তার কথা বলা মানেই বিপদ ডেকে আনা।
রিডের মাথায় ঘুরছে অসংখ্য প্রশ্ন। তিনি বিজ্ঞানী, তিনি ধাঁধার সমাধান খুঁজে বের করেন। কিন্তু এই জগৎ যেন একটা অসম্ভব ধাঁধা। তিনি লক্ষ্য করেন, এই জগতের প্রতিটা অংশ যেন ভিন্ন ভিন্ন জগতের টুকরো দিয়ে তৈরি। এক জায়গায় স্পাইডার-ম্যানের নিউ ইয়র্কের ধ্বংসাবশেষ, আরেক জায়গায় ওয়াকান্ডার জঙ্গলের ছায়া। তিনি বুঝতে পারেন, এই জগৎ কোনো প্রাকৃতিক সৃষ্টি নয়। কেউ এটাকে তৈরি করেছে। আর সেই কেউ আর কেউ নয়, ডক্টর ডুম।
ডুমের সিংহাসনে একটা গোপন কক্ষ। সেখানে, একটা অন্ধকার ঘরে, বসে আছে মলিকিউল ম্যান। তার চোখে শূন্যতা, যেন তার ভেতরে একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছে। মলিকিউল ম্যান কে? সে একজন সুপারভিলেন, যার শরীরে মাল্টিভার্সের শক্তি বাস করে। ডুম আর স্ট্রেঞ্জ তাকে ব্যবহার করে এই জগৎ তৈরি করেছে। কিন্তু মলিকিউল ম্যানের মনে একটা অস্থিরতা। সে জানে, তার শক্তি এই জগতের ভিত্তি, কিন্তু সে কি শুধুই একটা হাতিয়ার? তার চোখে একটা প্রশ্ন, আমি কে?
টি’চাল্লা তার ওয়াকান্ডার কথা মনে করছে। তার জঙ্গল, তার মানুষ, তার সিংহাসন। সে জানে, এই জগৎ তার নয়, কিন্তু তার রক্তে যুদ্ধের আগুন জ্বলছে। সে রিডের দিকে তাকায়। তুমি কি এই জগতের রহস্য খুঁজে পাবে? রিড মাথা নাড়ে। তার মনে একটা দৃঢ়তা। তিনি জানেন, ডুমের শক্তির পেছনে কোনো রহস্য আছে। আর সেই রহস্যের চাবি মলিকিউল ম্যানের কাছে।
ক্যারল ড্যানভার্স গ্রামের মানুষদের কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করছে। সে জানতে পারে, ডুমের শাসনের বিরুদ্ধে কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী জেগে উঠছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সুপারহিরো, কেউ সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাদের সবার মনে একটা স্বপ্ন: স্বাধীনতা। ক্যারলের চোখে আগুন। সে বলে, আমরা এই জগৎকে ডুমের হাত থেকে মুক্ত করবো। কিন্তু রিড তাকে থামায়। এখনো সময় হয়নি। আমাদের জানতে হবে, ডুমের শক্তির উৎস কী।
এদিকে, ডুমের সিংহাসনে একটা অশান্তি। স্ট্রেঞ্জ জানেন, এই জগৎ নিখুঁত নয়। মলিকিউল ম্যানের শক্তি অস্থির। যে কোনো মুহূর্তে এই জগৎ ভেঙে পড়তে পারে। ডুম তাকে বলেন, চিন্তা করো না, স্ট্রেঞ্জ। আমি সব নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। কিন্তু স্ট্রেঞ্জের মনে একটা সন্দেহ। তিনি জানেন, ডুমের উচ্চাভিলাষ এই জগতকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
একটা রাতে, রিড, টি’চাল্লা, আর ক্যারল একটা পরিকল্পনা করে। তারা মলিকিউল ম্যানের কাছে পৌঁছতে চায়। কিন্তু পথে তাদের বাধা দেয় থর কর্পস। আকাশ থেকে বজ্রপাতের মতো নেমে আসে একদল থর। তাদের হাতে মজলনির, চোখে ডুমের প্রতি অন্ধ আনুগত্য। ক্যারল তাদের মুখোমুখি দাঁড়ায়। তার শরীর থেকে আলোর ঝলক বেরিয়ে আসে। টি’চাল্লা তার প্যান্থারের দ্রুততা নিয়ে লড়তে শুরু করে। রিড তার বুদ্ধি দিয়ে একটা পথ বের করে। কিন্তু তারা জানে, এটা শুধু শুরু।
গল্প এখানে থামে না। ব্যাটলওয়ার্ল্ডের প্রতিটা কোণে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। রিডের মনে একটা আশা: যদি তারা মলিকিউল ম্যানের কাছে পৌঁছতে পারে, তাহলে ডুমের শক্তির রহস্য খুঁজে পাবে। কিন্তু পথটা সহজ নয়। ডুমের চোখ সব জায়গায়। আর স্ট্রেঞ্জের রহস্যময় ভূমিকা তাদের আরও বিভ্রান্ত করছে। এই জগৎ কি বাঁচবে, নাকি আবার ধ্বংসের মুখে পড়বে?
ব্যাটলওয়ার্ল্ডের আকাশে ঝড় উঠেছে। কালো মেঘের ফাঁকে ফাঁকে বিদ্যুতের ঝলক, যেন জগৎটা নিজেই ক্রোধে ফুঁসছে। মাটিতে, ধুলো আর ধ্বংসাবশেষের মাঝে, কয়েকজন সুপারহিরো লুকিয়ে চলেছে। তাদের চোখে ভয় নেই, আছে এক অদম্য সংকল্প। ডক্টর ডুমের শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠছে। এই জগৎ, যেটা মাল্টিভার্সের টুকরো দিয়ে তৈরি, এখন একটা যুদ্ধক্ষেত্র হতে চলেছে। রিড রিচার্ডস, ব্ল্যাক প্যান্থার, আর ক্যাপ্টেন মার্ভেল জানে, সময় ফুরিয়ে আসছে। ডুমের শক্তির উৎস খুঁজে বের করতে হবে, আর সেটা মলিকিউল ম্যানের মধ্যে লুকিয়ে আছে। সিক্রেট ওয়ারের তৃতীয় অধ্যায়ে আমরা ঢুকে পড়ি এমন একটা গল্পে, যেখানে আশা আর বিপদ পাশাপাশি হাঁটছে, আর প্রতিটা পদক্ষেপে রয়েছে নতুন একটা ঝুঁকি।
রাতের অন্ধকারে ব্যাটলওয়ার্ল্ডের একটা ভাঙা ডোমেইন। ধ্বংসপ্রাপ্ত একটা শহরের ধ্বংসাবশেষের মাঝে লুকিয়ে আছে রিড রিচার্ডস। তার হাতে একটা অদ্ভুত যন্ত্র, যেটা সে ধ্বংসস্তূপ থেকে সংগ্রহ করেছে। এটা মাল্টিভার্সের কোনো অংশের প্রযুক্তি, কিন্তু রিড জানে, এটা তার কাজে আসবে। তার পাশে টি’চাল্লা, ব্ল্যাক প্যান্থার, যার চোখে ওয়াকান্ডার যোদ্ধার আগুন। আর ক্যাপ্টেন মার্ভেল, ক্যারল ড্যানভার্স, দূরে পাহারা দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য একটাই: মলিকিউল ম্যানের কাছে পৌঁছানো। কিন্তু পথে বাধা ডুমের থর কর্পস, যারা এই জগতের প্রতিটা কোণে ছড়িয়ে আছে।
রিডের মাথায় ঘুরছে অসংখ্য হিসাব। তিনি জানেন, ব্যাটলওয়ার্ল্ডের ভিত্তি মলিকিউল ম্যানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে। কিন্তু সেই শক্তি কীভাবে কাজ করে? ডুম কীভাবে এত ক্ষমতা পেল? রিডের মনে তার হারানো পরিবারের কথা। সু স্টর্ম, জনি, বেন—তারা কোথায়? তিনি জানেন, এই জগতের রহস্য খুঁজে না পেলে তিনি কখনো তাদের ফিরে পাবেন না। তার হাতের যন্ত্রটা হঠাৎ আলো দিয়ে জ্বলে ওঠে। একটা সংকেত। মলিকিউল ম্যান কাছেই আছে।
টি’চাল্লা ফিসফিস করে বলে, আমাদের তাড়াতাড়ি করতে হবে। থর কর্পস আমাদের গন্ধ পেয়ে গেছে। ক্যারল মাথা নাড়ে। তার শরীর থেকে আলোর রশ্মি বেরোচ্ছে, যেন সে যুদ্ধের জন্য তৈরি। তারা তিনজন এগিয়ে চলে, একটা গোপন পথ ধরে। এই পথটা তাদের নিয়ে যায় ব্যাটলওয়ার্ল্ডের একটা অন্ধকার অংশে, যেখানে ডুমের দুর্গের ছায়া পড়ে।
ডুমের দুর্গে, একটা গোপন কক্ষে, মলিকিউল ম্যান বসে আছে। তার চোখে শূন্যতা, যেন সে কোনো স্বপ্নের মধ্যে হারিয়ে গেছে। তার পাশে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ। স্ট্রেঞ্জের মুখে একটা অদ্ভুত শান্তি, কিন্তু তার চোখে ঝড়। তিনি জানেন, এই জগৎ টিকে থাকার জন্য মলিকিউল ম্যানের শক্তি দরকার। কিন্তু তিনি এও জানেন, ডুমের উচ্চাভিলাষ এই শক্তিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। স্ট্রেঞ্জ মলিকিউল ম্যানের দিকে তাকান। তুমি কি জানো, তুমি এই জগতের ভিত্তি? মলিকিউল ম্যান মাথা নাড়ে। আমি শুধু একটা পুতুল। ডুমের হাতের পুতুল।
ডুম দুর্গের সিংহাসনে বসে আছেন। তার মুখোশের পেছনে একটা হাসি। তিনি জানেন, এই জগৎ তার সৃষ্টি। তিনি এখানে ঈশ্বর। কিন্তু তার মনের কোণে একটা অস্থিরতা। বিদ্রোহের খবর তার কানে এসেছে। কিছু সুপারহিরো, যারা মাল্টিভার্সের ধ্বংস থেকে বেঁচে গেছে, তারা তার শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। ডুমের হাতে একটা গোলক, যেটা দিয়ে তিনি ব্যাটলওয়ার্ল্ডের প্রতিটা কোণ দেখতে পান। তিনি দেখেন, রিড আর তার দল এগিয়ে আসছে। তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এটা একটা খেলা। আর আমি এই খেলার মাস্টার।
এদিকে, রিড, টি’চাল্লা, আর ক্যারল একটা ভাঙা ডোমেইনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই ডোমেইনটা যেন হাল্কের ধ্বংসলীলার স্মৃতি বহন করে। চারপাশে ভাঙা দেওয়াল, পোড়া মাটি। হঠাৎ, আকাশ থেকে বজ্রপাতের মতো নেমে আসে থর কর্পস। তাদের হাতে মজলনির, চোখে ডুমের প্রতি অন্ধ আনুগত্য। ক্যারল তাদের মুখোমুখি দাঁড়ায়। তার শরীর থেকে আলোর ঝলক ছড়িয়ে পড়ে। আমি তোমাদের সতর্ক করছি, পথ ছাড়ো। কিন্তু থররা শোনে না। তারা আক্রমণ করে।
টি’চাল্লা তার প্যান্থারের দ্রুততা নিয়ে লড়তে শুরু করে। তার নখরগুলো থরদের বর্মে আঘাত হানে। রিড তার যন্ত্র ব্যবহার করে একটা শক্তি ঢাল তৈরি করে, যেটা তাদের বাঁচায়। কিন্তু তারা জানে, এই লড়াই জিতলেও তারা নিরাপদ নয়। থর কর্পসের পেছনে ডুমের ছায়া। তাদের লড়াই শুধু শারীরিক নয়, এটা একটা মানসিক যুদ্ধ।
লড়াইয়ের মাঝে, রিড একটা সংকেত ধরতে পারে। মলিকিউল ম্যান কাছেই আছে। তিনি টি’চাল্লা আর ক্যারলকে বলেন, আমাদের এখনই পৌঁছতে হবে। যদি আমরা মলিকিউল ম্যানকে পাই, আমরা ডুমের শক্তির উৎস জানতে পারবো। কিন্তু পথে আরেকটা বাধা। একটা বিশাল দানব, যেন ব্যাটলওয়ার্ল্ডের কোনো অন্ধকার অংশ থেকে জেগে উঠেছে। তার চোখে আগুন, হাতে ধ্বংসের শক্তি। ক্যারল বলে, এটা আমার। তুমরা এগোও।
ক্যারল দানবের মুখোমুখি হয়। তার শরীর থেকে আলোর ঝড় বেরিয়ে আসে। রিড আর টি’চাল্লা এগিয়ে চলে, কিন্তু তাদের মনে একটা ভয়: ক্যারল কি ফিরে আসবে? তারা জানে, এই যুদ্ধে কেউ নিরাপদ নয়।
ডুমের দুর্গে, স্ট্রেঞ্জ মলিকিউল ম্যানের সাথে কথা বলছেন। তিনি জানেন, এই মানুষটির মধ্যে মাল্টিভার্সের শক্তি লুকিয়ে আছে। কিন্তু তার মনে একটা প্রশ্ন: ডুম কি সত্যিই এই শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? তিনি মলিকিউল ম্যানকে বলেন, তুমি এই জগতের চাবি। কিন্তু তুমি কি নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাও? মলিকিউল ম্যানের চোখে একটা আলো জ্বলে ওঠে। যেন সে প্রথমবার নিজের শক্তির গভীরতা বুঝতে পারছে।
রিড আর টি’চাল্লা দুর্গের কাছে পৌঁছে যায়। কিন্তু তাদের সামনে একটা অদৃশ্য দেওয়াল। রিডের যন্ত্রটা জ্বলে ওঠে। তিনি বুঝতে পারেন, এটা স্ট্রেঞ্জের জাদুর দেওয়াল। তারা কি এই দেওয়াল ভাঙতে পারবে? নাকি এটা তাদের শেষ পথ? গল্পটা এখানে থামে, কিন্তু বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে।

সম্পূর্ণ গল্প পড়তে চান?

Click here to read the full story.

💬 Give Your Review

We value your thoughts. Share your experience with us!

SUBMIT REVIEW