এক বোনের ঈমানদীপ্ত কাহিনী

কাহিনী

এক বোনের ঈমানদীপ্ত কাহিনী

লেখা:পর্দাশীলতা“
পুরোটি না পড়ে মন্তব্য করা নিষেধ
_______________________________
আজকে ভাইয়ার জন্য মেয়ে দেখতে এসেছি। বাবার ইচ্ছে ছিলো একটা ইসলামিক পরিবার থেকে মেয়ে
নিবে। কিন্তু এরা এতো টা ধার্মিকতা আমার জানা ছিলো না। যদিও আমরা শালীন পোশাক মানে
সালোয়ার কামিজ পরিহিতা ছিলাম। আর উড়না দিয়ে মাথায় ঘোমটা ও টানা ছিলো। তবুও
আমাদের দেখে পাত্রীর ভাই ও বাবা মাথা নিচু করে নিলেন।পাশে বোরকা পরিহিতা একজন
মহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন। শুধু চোখ দুটো ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছিলো না। তাও জর্জেটের
নিকাবের ভিতর দিয়ে। এমন কি হাত ও পা’য়েও মোজা পরা। পাত্রীর ভাই ও বাবা দু’জন ই পাঞ্জাবি মাথায় টুপি পরেছে আর দাঁড়িও আছে। মহিলাটি বোরকার ভিতর
থেকে অত্যন্ত নম্রসুরে আমাকে বললেন আমি যেনো ভিতরে গিয়ে বসি। ব্যাপারখানা বুঝতে পেরে
আমি লজ্জিত হয়ে উঠে গেলাম।ভিতরে গিয়ে দেখি একটি বোরকা পরিহিতা মেয়ে খাটের উপর বসে
মাটিতে দৃষ্টি দিয়ে আছে। উনারও চোখ ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না।সম্ভবত উনিই পাত্রী। আমি রুমে
ঢুকতেই দশ/এগারো বৎসরের পিচ্চিটা
দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছিলো। আমি ওকে বাধা দিয়ে বললাম তুমি কোথায় যাচ্ছো
এভাবে? পিচ্চিটা মাথা নিচু করে বললো আপনি পরিপূর্ণ পর্দায় নেই।আমি আপনাকে এভাবে দেখতে
পারি না। দৃষ্টির হেফাজত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। এতোটুকু পিচ্চির কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে
দাঁড়িয়ে রইলাম। আমি ভাইয়া নামাজ নিয়ে আলসেমি করলেও আব্বু-আম্মু ঠিকই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
পড়ে। কিন্তু পর্দার ব্যাপারে এতো সিরিয়াস না। আমি মেয়েটার দিকে এগিয়ে গেলাম। মেয়েটা
মৃদুস্বরে বললো -দাঁড়িয়ে আছেন কেন? বসেন
আমি চুপচাপ বসে গেলাম। এতো মিষ্টি গলা! না জানি সে দেখতে কতটা মিষ্টি! আমি রোবটের মতো
বসে জিজ্ঞাসা করলাম-আপনিই কি পাত্রী?
মেয়েটা মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললো।আমি তাকে প্রশ্ন করলাম-আপনার চেহারা টা একটু দেখতে
পারি?মেয়েটা একবার দরজার দিকে
তাকিয়ে মুখ থেকে নিকাব তা সরিয়ে আমার দিকে তাকালো।আমার মনে হলো তার চেহারা
থেকে জ্যোতি বের হচ্ছে। ঘরটা অন্ধকার থাকলেও বুঝি এই চেহারার জন্য ঘরটাতে চাঁদের আলোর মতো
আলো থাকতো। এতো ফর্সা আর এতো সুন্দর মানুষ হয় আমার জানা ছিলোনা। আমি হা হয়ে তাকে
দেখছিলাম। ঘোর কাটলো মেয়েটার কথার শব্দ শুনে। মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা
করলো
-এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?
-মানুষ এতো সুন্দর হয়!
মেয়েটা মৃদু হেসে বললো-আল্লাহর সব সৃষ্টি ই অপরূপ।
মেয়েটার সাথে কথা বললেও যেনো মনে একটা শান্তি লাগে।আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম-তোমার নাম কি?
-ফাতেমা।মনে মনে বললাম নামের মর্যাদা
রেখেছো। কিন্তু এরা যেভাবে
পর্দা করে আদৌ কি ইসলামে এতো কড়াকড়ি পর্দা বিধান আছে? তাই
তাকে বললাম-আচ্ছা মেয়েদের তো মুখমণ্ডল,
হাতের কব্জি, পা এর তালু এগুলো
ঢাকার তো আবশ্যিকতা নেই!-নিষেধ ও তো নেই। মেয়েদের রূপ লাবণ্য তো চেহারাতেই থাকে। আর
তা যদি সবার সামনে প্রদর্শন করে
বেড়াই তাহলে তো অন্যের কটুক্তি শুনতে হবে। আমি এর থেকে বাঁচার উপায় জানা স্বত্তেও তাকে সুযোগ দিচ্ছি। তাহলে আমিও কি অপরাধী
নই?

 

আসলেই তো। এভাবে তো কখনো
ভেবে দেখি নি। রাস্তায় কেউ কিছু বললে গা জ্বলে কিন্তু এখানেতো আমিও পুরোপুরি নির্দোষ নই!
উনার কথা শুনে আমার মনে হচ্ছিলো আমার ভাই এই মেয়ের যোগ্য না।
ভাইয়া ঠিকমতো তো নামাজ পড়েই
না। তার উপর যতসব অশ্লীল সাইটে ঘুরে বেড়ায়। চা দিতে গিয়ে
একদিন দেখেছিলাম। যদিও ভাইয়া সাথে সাথে ল্যাপটপ অফ করে
দিয়েছিলো কিন্তু ব্যাপারটা আমার চোখ এড়ায়নি।
কেমন যেনো ঘোরের ভিতর
ফাতেমা আপুকে ভাইয়ার খারাপ
দিকগুলি বলে দিলাম। এমনি কি এই
পর্যন্ত কতটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছে তা ও। সব শোনার পরও ফাতেমা আপুর চেহারায় বিশেষ
পরিবর্তন দেখলাম না। তাই
জিজ্ঞাসা করলাম-এরকম একটা ছেলেকে তুমি বিয়ে
করতে রাজি?-জন্ম মৃত্যু বিয়ে আল্লাহর হাতে।
তিনি আমাকে যার জন্য সৃষ্টি
করেছেন আমি তার ই বিবি হবো।তাই বিয়ে নিয়ে আমি ঘাবড়াচ্ছিনা। আমি জানি আল্লাহ আমার জন্য
সঠিক টা ই করবেন। আর সেটা যদি আপনার ভাই হয় তাহলে তাকে বিয়ে করতে আমার আপত্তি থাকা শোভা পায় না। আর যদি আল্লাহ্ তার জন্য
আমাকে সৃষ্টি না করেন তাহলে
আমি রাজি থাকলেও কি এই বিয়ে
হবে নাকি?
-তোমাকে দেখে মনে হয় না কখনো পর পুরুষের সাথে অদরকারে কথা বলেছো কিন্তু ভাইয়া তো এতো
মেয়ের সাথে প্রেম…..-তিনি যে জিনা করে নি তাই
আলহামদুলিল্লাহ!
আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম এমন সময়
পাত্রীর মা এসে ওনাকে নিয়ে গেলেন। ফাতেমা আপু আবার নিকাব টা মুখের উপর টেনে নিলো।
আমি বান্ধবীদের ভাই বোনের মেয়ে দেখার অনুষ্ঠানে গেছি।সেখানে দেখতাম মেয়ে কত সেজেগুজে পাত্র পক্ষের সামনে
আসে আর এখানে! বোরকার আড়ালে
প্রকৃতির রং এ সজ্জিত এক পরী। দরজায়
দাঁড়িয়ে দেখছিলাম যখন পাত্রীর মুখ দেখতে চেয়েছে পাত্রীর মা কিছু সেকেন্ড এর জন্য মেয়ের নিকাব তুলে আবার মুখ ঢেকে দিয়েছেন।আমার মনে হচ্ছিলো এই পরিবার তাঁদের মতোই কোনো পরিবারে
মেয়েকে পাঠাবে। বিয়েটা হয়তো হবে না। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে নিলো।
আজ ভাইয়ার বিয়ে। আমাদের বাড়িতে আয়োজন এর শেষ নেই।মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখলাম তেমন জাঁকজমক করে কিছু সাজানো হয় নি। খাওয়ার ব্যবস্থা টা দেখে আরো একবার বিমোহিত হলাম।
চারদিকে কালো কাপড় দিয়ে আবৃত করে সেখানে মহিলাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিয়ে বাড়ির
প্রধান আকর্ষণ বৌ। আজও দেখি সেই বোরকা পরে নিকাব দেওয়া। তার উপর ঘোমটা ও টানা।
বৌ আমাদের বাড়ি আনার পর বৌ এর বেশভূষা দেখে সবাই থ হয়ে গেলো।ভাবী আমার কাছে এসে বললো
-আমার একটা কথা ছিলো-কি বলো?
-আমি পর পুরুষকে আমার মুখ দেখাতে
পারবো না। আমার অস্বস্তি লাগবে।ছোট থেকেই আমি নিজেকে আড়াল রাখি। যেনো আমার মৃত্যুর পর আমার পরিবার ব্যতীত কেউ আমার রূপ বর্ণণা
করার সুযোগ পায় না। তার উপর এখন
আমি সজ্জিত আছি এই অবস্থায় কারোর সামনে নিজেকে উপস্থাপন
করলে আল্লাহ আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন। তুমি দয়া করে আমাকে আমাদের রুমটা দেখিয়ে দাও।
যেসকল মেয়ে লোক আমাকে
দেখতে চায় তারা রুমে গিয়ে
দেখবে।
-কিন্তু ফটোগ্রাফি?
-মাফ করবে। আমি নিজেকে প্রদর্শনী
বানাতে পারবো না। যতজন ঐ ছবি
দেখে মন্তব্য করবে ততোজনের জন্য আল্লাহ্ আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন।আমি কিছু না বলে ভাবীকে রুমে
নিয়ে গেলাম। সব অতিথি চলে যাওয়ার পর ভাবীর রুমে গিয়ে আরো একবার থমকে গেলাম। ভাবী বৌ
সেজেছে। সেটা ঘোমটা আড়ালে লুকিয়ে ছিলো। এরকম একটা সৌন্দর্য
এর দিকে হয়তো আমৃত্যু তাকিয়ে
থাকলেও ক্লান্তি আসবে না। আমি
অবাক দৃষ্টি নিয়েই বললাম
-ভা…ভাবী তু…তুম্মি এতো সুন্দর করে
সাজছো?
-মেয়েদের জন্যই তো রং। কিন্তু তা শুধু স্বামীর সামনেই প্রদর্শন করতে হয়।স্বামী স্ত্রীর রূপে মুগ্ধ থাকলে
আল্লাহ্ ও খুশি হোন।আমি রুম থেকে বের হয়ে ভাবলাম ভাইয়া কি লাকি!
ভাবী আসার পর থেকে আমাদের বাসা টা পাল্টে যেতে থাকলো।প্রথম কয়েকদিন ভাবী সবাইকে
সময়মতো নামাজ পড়তে অনুরোধ করতো। এখন আমাদের নিজের কাছেই সময়মতো নামাজ না পড়তে পারলে অস্বস্তি লাগে। ডিশ লাইন কেটে দেওয়া হইছে। এখন বেশিরভাগ সময় ই বাসাতে ওয়াজ বাজে। সবচেয়ে বেশি অবাক করা পরিবর্তন হয়েছে
ভাইয়ার মাঝে। হবে ই না কেন যার
বৌ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে ভাইয়ার জন্য দোয়া করতো। ইসলামের পথে আনার জন্য আল্লাহর কাছে
সাহায্য চাইতো সে তো ইসলাম এর
ছায়াতলে আসবেই। ভাইয়াকে
অফিসের স্যার দাঁড়ি কেটে পাঞ্জাবি পরা ছাড়তে
বলেছিলো। ইসলামে পাঞ্জাবি
পড়া আবশ্যক না। কিন্তু ভাইয়া পাঞ্জাবি তেই আরামবোধ করতো।
শুধু পাঞ্জাবি নিয়ে অসুবিধা থাকলে সেটা পরিবর্তন করা
যেতো। কিন্তু তার স্যারের দাঁড়ি
নিয়েও সমস্যা। জঙ্গি কি না এই সন্দেহ! তাই দাঁড়ি কেটে সুট কোট পরে অফিস করতে হবে। ভাইয়া তা
না করে স্যারের মুখের উপর রিজাইন লেটার দিয়ে চলে আসে। তাতে পঞ্চাশ হাজার টাকার চাকরি টা
হাতচ্যুত হয়। এখন ত্রিশ হাজার বেতনের চাকরি করলেও আল্লাহর রহমতে সব ভালোই চলে।
আজকে আরো একটা খুশির দিন। আমার
বিয়ে। মনের মানুষ এর সাথেই বিয়ে
কিন্তু গত চার বছর তার সাথে কোনো যোগাযোগ ছিলো না। একদিন মাঝরাতে আমি যখন ফোনালাপে
ব্যস্ত তখন ভাবী নামাজ পড়ে এসে আমার পাশে
দাঁড়ালেন। আমি হতভম্ব হয়ে ফোন কেটে দিলাম। ভাবী আমার দিকে তাকিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে বললেন
-আত্মহত্যা মহাপাপ জানো? এরকম কথা বলার কোনো হেতু আমি খুঁজে পেলাম না। তবুও মাথা নেড়ে
বললাম-হুম
-তুমি কি আত্মহত্যা করছো না?
-মানে?
-তোমার ভিতরের মুমিন সত্তাকে
হত্যা করছো না? তুমি কি জানো না বিবাহপূর্ব প্রেম ইসলামে নিষিদ্ধ?-কিন্তু ভাবী আমরা তো কোনো
খারাপ….-কখনো তার সাথে দেখা করো নি?
হাত ধরো নি?আমি মাথা নিচু করে বললাম
-দুটোই করেছি-আমি আর গভীরে নাই বা গেলাম।
তোমরা যতোআ সৎ থাকো। যখন তোমরা একত্রে থাকো তখন তোমাদের খারাপ ইন্ধন যোগাতে
শয়তান সেখানে উপস্থিত থাকে।যেখানে একজন মুমিন ব্যক্তির উপর ও শয়তান ইন্ধন জুগানোর চেষ্টা করে
সেখানে তোমাদের উপর তো
প্রয়োগ করা আরো সহজ। তুমি কি প্রাচীন জাহেলি যুগের কাহিনী
জানো না? তাঁদের মতো নিজেকে প্রদর্শন করে কেনো বেড়াচ্ছো?-কিন্ত
ু ভাবী আমরা তো নিয়ত
করেছি আমরা একে অপরের
জীবনসঙ্গী হবো-বিয়ে ঠিকঠাক হওয়ার পর ও আকদ না হওয়া অবধি কথা বলাও জায়েজ নেই।
সেখানে তোমরা ফ্যামিলিকে ধোঁকা দিয়ে নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছো। এর শাস্তি কি জানো?
কেমন লাগবে বলতে পারো গলিত
শিশা চোখে ঢাললে?
আমি চুপ করে ছিলাম। আমার হাত পা
কাঁপছিল। শরীরে ঘাম ছুটে গেছে।
ভাবী আবার বলতে লাগলেন -তুমি কি সূরা মায়িদার 5 নং আয়াত কিংবা সূরা নূর এর 31 নং আয়াত
সম্পর্কে অবগত নও? যেখানে মেয়েরা কাদের সাথে সাক্ষাত্ করতে পারবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ
আছে?আমি তখন ও চুপ। ভাবী একটু থেমে
বললেন-দেখো ছেলেটা অবুঝ না।
তোমাকে দেখলে তার কামনা
পায়। প্রকাশ করুক বা না করুক।মেয়েদের প্রতি ছেলেরা আকৃষ্ট হবেই। তুমি এর সুযোগ করে দিয়ে
নিজের পাশাপাশি ছেলেটাকে গুনাহগার করছো। নিশ্চয়ই নিজের ভালোবাসার মানুষের ভয়ানক
শাস্তি তুমি কাম্য করো না?
আমি কাঁদতে কাঁদতে না বললাম।
ভাবী আমার মাথায় হাত রেখে
বললো।
-ইসলামে কাউকে পছন্দ করা টা পাপ বলে নি। কিন্তু পছন্দ করলেই স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা
গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। তুমি তাকে বলো সবর করতে কিংবা
তোমাকে বিয়ে করে নিতে।
স্বামী স্ত্রী মাঝে মোহব্বত
থাকলে আল্লাহ্ খুশি হন। আর আল্লাহর খুশি মানেই সওয়াব অর্জন। যা থেকে সওয়াব পাওয়া যায় তা ভুল সময়ে করে কেনো গুনাহগার হবে? মনে রেখো
যা জিনাহ এর নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে জেনেশুনে যাওয়া ও এক প্রকার কবিরা গুনাহ। শুধু শারীরিক সম্পর্ক ই না। হাত চোখ এমন কি মনের ও
জিনা হতে পারে!
আমি ভাবীর কথামতো সেদিন ই ওকে না করে দিছিলাম। প্রথমে মানতে নারাজ ছিলো। সে
বলেছিলো আমাকে ছাড়া নাকি এক মূহুর্ত ও চলে না। দম বন্ধ হয়ে আসে।বলেছিলাম সত্যি ভালোবাসলেই
আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে।ছবিগুলি ডিলেট দিও। আমার জন্য মন ছটফট করলে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিও। এটাও ভাবীর কাছে
শিখেছিলাম। নামাজ পড়লে সত্যিই অস্থিরতা চলে যায়।সেদিন ভাবীর সব কথা শুনেছিলাম বলেই হয়তো আজ নিজেকে খুব লাকি
মনে হচ্ছে। কারণ ভাবীর মতো
কোনো উৎশৃঙ্খল না একজন ইসলামি
আদর্শে পরিপূর্ণ ছেলের বৌ ই হচ্ছি।আমি বোরকা আর নিকাব আর সে পাশে পাঞ্জাবি আর টুপি পড়ে বসে
আছে। কাজি বিয়ে পড়াচ্ছেন।নিঃসন্দেহ এটা কি পৃথিবীর সুন্দরমতো দৃশ্যের মধ্যে একটি নয়?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *