দোয়া কবুলের সময়

দোয়া কবুলের সময়

1.দোয়া কবুলের সময়

আব্দুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, একজন লোক বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! মুআযযিনদের মর্যাদা আমাদের চেয়ে বেশী হয়ে যাবে। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘মুআযযিন্ যা বলে তুমিও তা বল। যখন আযান শেষ হয়ে যাবে তখন আল্লাহ্‌র কাছে চাও, যা চাইবে তা দেয়া হবে।(রেফারেন্সহাসান। আবূ দাঊদঃ ৫২৪)

2.দোয়া কবুলের সময়

আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, যখন সালাতের জন্য আযান দেওয়া হয় তখন আকাশের দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং দোয়া কবুল করা হয়।(রেফারেন্সসহীহ। সিলসিলা সহীহাহঃ ১৪১৩)

3.লাইলাতুল কদর সম্পর্কে

আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন –

إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ﴿١﴾ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ ﴿٢﴾ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ ﴿٣﴾ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ ﴿٤﴾ سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ ﴿٥﴾

اِنَّا اَنْزَلْنَاهُ فِيْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ ﴿١﴾ وَمَا اَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ ﴿٢﴾ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ اَلْفِ شَهْرٍ ﴿٣﴾ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوْحُ فِيْهَا بِاِذْنِ رَبِّهِمْ مِّن كُلِّ اَمْرٍ ﴿٤﴾ سَلَامٌ هِيَ حَتّٰي مَطْلَعِ الْفَجْرِ ﴿٥﴾

অনুবাদ

(১) নিশ্চয়ই আমি এটি নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল ক্বাদরে।’ (২) তোমাকে কিসে জানাবে ‘লাইলাতুল ক্বাদর’ কী? (৩) ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (৪) সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। (৫) শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।(রেফারেন্সসূরা আল-কদরঃ ৯৭:১-৫)

4.লাইলাতুল কদরের দোয়া

আয়িশা (রাঃ) কে নবী (ﷺ) বলেন, তুমি বলো –

اَللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

اَللّٰهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيْمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ

আল্লা-হুম্মা, ইন্নাকা ‘আফুওউন্‌ কারীম, তু’হিব্বুল ‘আফ্‌ওয়া ফা’অ্‌ফু ‘আন্নী

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও।(রেফারেন্সসহীহ। তিরমিযীঃ ৩৫১৩)

5.শেষ রাতের দোয়া

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেন, “প্রতি রাতে শেষ এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকতে, আমাদের মহান রব নিকটতম আকাশে নেমে বলেন, যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেবো; যে আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দেবো; যে আমার কাছে মাফ চাইবে, আমি তাকে মাফ করে দেবো।” [১]

শেষ রাতে যারা (আল্লাহ্‌র কাছে) ক্ষমা চায়, তাদের প্রশংসা করে আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন –

كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ ﴿١٧﴾ وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ ﴿١٨﴾

كَانُوْا قَلِيْلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُوْنَ ﴿١٧﴾ وَبِالْاَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ ﴿١٨﴾

অনুবাদ

(১৭) রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো। (১৮) আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত। [২]রেফারেন্স[১] বুখারীঃ ১১৪৫ [২] সূরা আয-যারিয়াতঃ ৫১: ১৭-১৮

6.ফরজ সালাতসমূহের পর দোয়া

দোয়া কবুল কখন হয় সে সম্পর্কে নবী (ﷺ) বলেন, “শেষ রাতে এবং ফরজ সালাতসমূহের পরে। (রেফারে ন্সহাসান। তিরমিযীঃ ৩৪৯৯)

7.আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেন, “আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।” (রেফারে ন্সসহীহ। আবু দাউদঃ ৫২১)

8.দোয়া কবুলের সময় (আযান, ইকামতের বৃষ্টি ও যুদ্ধের সময়ে)

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “দুটি (দোয়া) ফিরিয়ে দেওয়া হয় না, অথবা খুব কমই ফিরিয়ে দেওয়া হয়; আযানের সময় দোয়া এবং যখন যুদ্ধ তীব্র রূপ ধারণ করে।” অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, “বৃষ্টির সময়।”(রেফারেন্স সহীহ। আবূ দাঊদঃ ২৫৪০)

9.প্রতি রাতে কিছুক্ষণ সময়ের দোয়া

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, “রাতের বেলা কিছুক্ষণ সময় থাকে, যখন কোনও মুসলিম আল্লাহ্‌র কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনও কল্যাণ চাইলে, আল্লাহ্‌ তাকে তা অবশ্যই দেন। এটি প্রত্যেক রাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।”(রেফারেন্স মুসলিমঃ ৭৫৭)

10.সৎ নিয়তে জমজমের পানি পান করার সময়ের দোয়া

নবী (ﷺ) বলেছেন, “জমজমের পানি ওই উদ্দেশ্য হাসিলে সহায়ক, যে উদ্দেশ্য নিয়ে তা পান করা হবে।” (রেফারেন্সসহীহ। ইবনু মাজাহঃ ৩০৬২)

11.সিজদায় দোয়া করা

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, “বান্দা যখন সিজদায় থাকে, তখন সে তার রবের অধিক কাছাকাছি থাকে; সুতরাং (ওই সময়) তোমরা বেশি করে দোয়া করো।”(রেফারেন্সমুসলিমঃ ৪৮২)

12.রাতে ঘুম থেকে উঠে নির্দিষ্ট দোয়া পড়া

নবী (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি রাতের বেলা ঘুম থেকে উঠে এ বাক্যগুলো বলে –

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ‏ اَلْحَمْدُ لِلَّهِ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ‏ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ وَسُبْحَانَ اللّٰهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ اَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللّٰهِ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া‘হদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল ‘হামদ, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-‘হামদু লিল্লাহি, ওয়া সুব’হা-নাল্লা-হি’, ওয়া লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া ‘আল্লা-হু আকবার’, ওয়া লা- ‘হাওলা ওয়া লা- ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লা-হ

অনুবাদ

আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনও অংশীদার নেই, রাজত্ব তাঁর, প্রশংসাও তাঁর, তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র, আল্লাহ্‌ পবিত্র, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই, আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ, মহান আল্লাহ্‌ ছাড়া কারও কোনও শক্তি-সামর্থ্য নেই।

এরপর বলে, “হে আল্লাহ্‌! আমাকে মাফ করে দাও!” অথবা অন্য কোনও দোয়া করে, তার দোয়া কবুল হয়। তারপর ওযূ করে সালাত আদায় করলে, তার সালাত কবুল হয়।(রেফারেন্সবুখারীঃ ১১৫৪)

13.ইউনুস (আঃ) এর দোয়া

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেছেন, মাছের পেটের ভেতর থাকাবস্থায় ইউনুস (আঃ) দোয়া করেছিলেন –

لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّيْ كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ

লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা সুব‘হা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায যা-লিমীন

অনুবাদ

তুমি ছাড়া সত্য কোনও মা’বুদ নেই! তুমি পবিত্র! আমি তো জালিমদের একজন!

যে কোন মুসলিম লোক কোন বিষয়ে কখনো এ দু’আ করলে অবশ্যই আল্লাহ্‌ তা’আলা তার দু’আ কবুল করেন। (রেফারেন্সসহীহ। তিরমিযিঃ ৩৫০৫)

14.মুসিবতের সময় নির্দিষ্ট দোয়া পড়া

কোনও বান্দা যদি বিপদ-মুসিবতের মুখোমুখি হয়ে বলে –

إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ، اَللَّهُمَّ أْجُرْنِيْ فِي مُصِيْبَتِيْ وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِّنْهَا

اِنَّا لِلّٰهِ وَاِنَّا اِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ، اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِيْ فِيْ مُصِيْبَتِيْ وَاَخْلِفْ لِيْ خَيْرًا مِّنْهَا

ইন্না- লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলাইহি রা-জিউন। আল্লা-হুম্মাঅ্‌ জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়া আখলিফ লী খাইরাম মিনহা-

অনুবাদ

আমরা আল্লাহ্‌র জন্য, আর আমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ্‌! আমার মুসিবতের জন্য আমাকে প্রতিদান দাও! এবং এর চেয়ে উত্তম কিছু আমাকে দাও!

উম্মু সালামাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) কে বলতে শুনেছিঃ কোন মুসলিমের ওপর মুসীবত আসলে যদি সে বলেঃ (উপরে দোয়াটি উল্লেখিত হয়েছে) তবে মহান আল্লাহ্‌ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন। (রেফারেন্স মুসলিমঃ ৯১৮)

15.কারও মৃত্যুর পর

উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (আবূ সালামা’র মৃত্যুর পর) আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) আবু সালামার কাছে আসেন। তার চোখ ছিল খোলা ও স্থির। নবী (ﷺ) তা বন্ধ করে দিয়ে বলেন, “রূহ বা আত্মা নিয়ে যাওয়া হলে, চোখ তার পেছনে পেছনে যায়।” তখন তার পরিবারের কিছু লোক চিৎকার করে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নবী (ﷺ) বলেন, “তোমরা নিজেদের জন্য ভালো ছাড়া অন্য কিছুর দোয়া করো না; কারণ, তোমাদের দোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরেশতারা ‘আমীন/ আল্লাহ্‌! কবুল করো!’ বলতে থাকে।” (রেফারেন্সমুসলিমঃ ৯২০)

16.সালাতের শুরুতে বিশেষ দোয়া পড়ার সময়

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে সালাত আদায় কালিন, লোকদের মধ্যে একজন বলে ওঠে –

اَللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيْلًا

اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا

আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাছিরান, ওয়াসুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাও ওয়া আসীলা

অনুবাদ

আল্লাহ্‌ সর্বশ্রেষ্ঠ, সবচাইতে বড়, অধিকাধিক প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ্‌র পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেন, “এসব বাক্য কে উচ্চারণ করল?” লোকদের মধ্যে একজন বলল, “হে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) আমি।” নবী (ﷺ) বলেন, এসব শুনে আমি চমকে ওঠেছি; কারণ এ দোয়ার জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ)-কে ওই কথা বলতে শোনার পর থেকে, আমি আর সেসব বাক্য (পাঠ করা) ছাড়িনি। (রেফারেন্স মুসলিমঃ ৬০১)

17.সালাতের শুরুতে বিশেষ দোয়া পড়ার সময়

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি এসে (সালাতের) কাতারে ঢুকে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে –

اَلْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ

اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ

আল-‘হামদু লিল্লা-হি ‘হামদান কাছিরান ত্বয়্যিবান মুবা-রাকান ফীহ

অনুবাদ

সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র; এমন প্রশংসা যা পরিমাণে বিপুল, পবিত্র ও বরকতময়।

সালাত শেষে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেন, “তোমাদের মধ্যে এসব বাক্য কে উচ্চারণ করল?” লোকজন চুপ থাকলে তিনি (আবার) জিজ্ঞাসা করেন, “তোমাদের মধ্যে এসব বাক্য কে উচ্চারণ করল? সে তো খারাপ কিছু বলেনি!” তখন এক ব্যক্তি বলে, “আমি এসে হাঁপাচ্ছিলাম। এরপর এ কথাগুলো বলেছি।” তখন নবী (ﷺ) বলেন, “আমি দেখলাম-কে এ বাক্যগুলো তুলে (আল্লাহ্‌র কাছে) নিয়ে যাবে, এ নিয়ে ফেরেশতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে।” (রেফারেন্সমুসলিমঃ ৬০০)

18.ইমামের পেছনে সূরা ফাতিহা পড়ার সময়

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, “যে-ব্যক্তি সালাত আদায় করল, অথচ তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তা হলে সেটি অসম্পূর্ণ।” আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে বলা হলো, আমরা তো ইমামের পেছনে থাকি। তিনি বলেন, “মনে মনে তা পড়ো; কারণ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেছেন-সালাতকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে দু’ ভাগে বিভক্ত করেছি; আমার বান্দা তা-ই পাবে, যা সে চায়। যখন বান্দা বলে, সকল প্রশংসা বিশ্বজাহানের রব আল্লাহ্‌র, আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন সে বলে, পরম করুণাময় অসীম দয়ালু, আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন, আমার বান্দা আমার মহত্ত্ব বর্ণনা করেছে। যখন সে বলে, বিচার দিনের মালিক, আল্লাহ্‌ বলেন, আমার বান্দা আমার মহিমা প্রকাশ করেছে। (আরেকবার তিনি বলেন, আমার বান্দা আমার কাছে ন্যস্ত করেছে।) যখন সে বলে, আমরা কেবল তোমার গোলামি করি আর কেবল তোমার কাছে সাহায্য চাই, তখন আল্লাহ্‌ বলেন, এটি আমার ও আমার বান্দার মধ্যকার বিষয়; আমার বান্দা তা-ই পাবে, যা সে চায়। এরপর যখন সে বলে, আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ পথ দেখাও-তাদের পথ, যাদের উপর তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের পথ নয় যারা (তোমার) ক্রোধের শিকার হয়েছে এবং যারা পথ হারিয়ে ফেলেছে, তখন আল্লাহ্‌ বলেন, এটি আমার, আর আমার বান্দা তা-ই পাবে, যা সে চায়।”(রেফারেন্স মুসলিমঃ ৩৯৫)

 19. রুকূ থেকে ওঠার পরের দোয়া

একবার আমরা নবী (ﷺ)-এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। তিনি যখন রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে ‘সামি’আল্লাহ হুলিমান ‘হামিদাহ’ বললেন, তখন পিছন থেকে এক সাহাবী বলে উঠলেন –

رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ

رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ

রব্বানা- ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাসীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহ

অনুবাদ

হে আমাদের রব! প্রশংসা কেবল তোমারই, বিপুল পরিমাণ প্রশংসা, যা উত্তম ও বরকত-সমৃদ্ধ।

সালাত শেষে তিনি (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেন, “একটু আগে (এ শব্দগুলো) কে বলেছে?” সে বলে, “আমি।” নবী (ﷺ) বলেন, “আমি ত্রিশ জনের বেশি ফেরেশতাকে দেখেছি, কে সর্বপ্রথম তা লিখবে-এ নিয়ে তারা প্রতিযোগিতায় নেমেছে!”(রেফারেন্স বুখারীঃ ৭৯৯)

20.ফেরেশতাদের আমীন-এর সঙ্গে মুসল্লির আমীন মিলে গেলে

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেন, “যখন ইমাম আমীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো, কারণ যার আমীন ফেরেশতাদের আমীন-এর সঙ্গে মিলে যাবে, তার পেছনের গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।” [১] আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেন, “যখন ইমাম গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াল্লীন বলেন, তখন তোমরা আমীন বলো, কারণ যার আমীন ফেরেশতাদের আমীন-এর সঙ্গে মিলে যাবে, তার পেছনের গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।” [২] রেফারেন্স[১] বুখারীঃ ৭৮০ [২] বুখারীঃ ৭৮২

21.রুকূ থেকে উঠে পড়ার দোয়া

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) বলেন, ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ বলে, তখন তোমরা বলো –

اَللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ

اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ

আল্লা-হুম্মা রব্বানা- ওয়া লাকাল হামদ

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌, আমাদের রব! এবং প্রশংসা কেবলই তোমার।

কারণ, যার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার সঙ্গে মিলে যায়, তার পেছনের গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়। রেফারে ন্সবুখারীঃ ৭৯৬

22.সালাম ফেরানোর আগে

আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) মসজিদে প্রবেশ করেন। তখন এক ব্যক্তি সালাতের শেষের দিকে তাশাহুদ পাঠ করছিল। সে বলছিল –

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ يَا اللَّهُ بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ أَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ يَا اَللّٰهُ بِاَنَّكَ الْوَاحِدُ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ اَنْ تَغْفِرَ لِيْ ذُنُوْبِيْ اِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলূকা ইয়া আল্লা-হু বি’আন্নাকাল ওয়া‘হিদুল আ‘হাদুস সামাদুল লাযী লাম ইয়ালিদ, ওয়া লাম ইউলাদ, ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুআন আহাদ আন তাগ্‌ফিরালি যুনূবী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর্‌ রাহীম

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে চাই। হে আল্লাহ্‌! তুমি এক, একক, অমুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারও থেকে জন্ম নেননি। এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই; তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, একমাত্র তুমিই ক্ষমাশীল, দয়ালু।

তার দোয়া শুনে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) তিনবার বলেন, “তাকে মাফ করে দেওয়া হয়েছে।” রেফারেন্সসহীহ। নাসাঈঃ ১৩০১

23.সালাম ফেরানোর আগে

এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছে। সে রুকু, সাজদা ও তাশাহুদের পর দোয়া করে। ওই দোয়ায় সে বলে –

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِاَنَّ لَكَ الْحَمْدُ لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيْعُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ

আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস-আলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতাল-মান্না-নু, বাদী’উস সামাওয়া-তি ওয়াল আরদি, ইয়া- যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম, ইয়া- হাইউ ইয়া- ক্বয়্যুউম

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে চাই। প্রশংসা কেবল তোমারই; তুমি ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই, তুমি মহান দাতা এবং আকাশসমূহের ও পৃথিবীর অস্তিত্বদানকারী হে মহত্ত্ব ও মহানুভবতার অধিকারী! হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী!

নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবীদের বলেন, “তোমরা কি জানো, সে কী দোয়া করেছে?” তারা বলেন, “আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) ভালো জানেন।” নবী (ﷺ) বলেন, “শপথ সেই সত্ত্বার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! সে আল্লাহ্‌কে তাঁর মহান নাম নিয়ে ডেকেছে, যে নাম নিয়ে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নাম নিয়ে কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দেন। রেফারেন্সসহীহ। আবু দাউদঃ ১৪৯৫

24.সালাম ফেরানোর আগে

নবী (ﷺ) এক ব্যক্তিকে এ কথা বলে দোয়া করতে শুনেন –

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ اَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ بِاَنِّيْ اَشْهَدُ اَنَّكَ اَنْتَ اللّٰهُ لَا اِلٰهَ اِلَّااَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলূকা বিআন্নি আশ-হাদু আন্নাকা আনতাল্লা-হু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতাল আ‘হাদুস সামাদুল লাযী লাম ইয়ালিদ, ওয়া লাম ইউলাদ, ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুআন আহাদ

অনুবাদ

হে আল্লাহ্‌! আমি তোমার কাছে চাই৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, একমাত্র তুমিই আল্লাহ্‌, তুমি ছাড়া সত্য কোনও মা’বুদ নেই, একক, অমুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারও থেকে জন্ম নেননি এবং যার সমকক্ষ কেউ নেই।

তখন নবী (ﷺ) বলেন, “শপথ সেই সত্তার, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! সে আল্লাহ্‌কে তাঁর মহান নাম নিয়ে ডেকেছে, যে নাম নিয়ে ডাকা হলে তিনি সাড়া দেন এবং যে নাম নিয়ে কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দেন।” রেফারেন্সসহীহ। আবু দাউদঃ ১৪৯৩

25.ওযূর পর নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ

নবী (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি ওযূ করে-এবং যথাযথভাবে তা সম্পন্ন করে, তারপর বলে –

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ

اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ

আশহাদু আন্‌ লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়া‘হদাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মু‘হাম্মাদান ‘আবদুহু ওয়া রাসূলুহু

অনুবাদ

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনও হক্ব ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনও অংশীদার নেই; আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর দাস ও বার্তাবাহক।

তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে; যে-দরজা দিয়ে ইচ্ছা, সে (জান্নাতে) প্রবেশ করবে। রেফারেন্সমুসলিমঃ ২৩৪

26.আরাফার দিন আরাফার ময়দানের দোয়া

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আরাফাতের দিনের দু’আই উত্তম দু’আ। আমি ও আমার আগের নাবীগণ যা বলেছিলেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কথা –

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ

لَا اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَاشَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া‘হদাহু লা- শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল ‘হামদু, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর

অনুবাদ

আল্লাহ্‌ ছাড়া সত্য কোনও মা’বুদ নেই, তিনি একক; তাঁর কোনও অংশীদার নেই; শাসনক্ষমতা তাঁর; প্রশংসাও তাঁরই; তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।রেফারেন্সহাসান। তিরমিযীঃ ৩৫৮৫

27.মোরগ ডাকার সময়

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, “তোমরা মোরগের ডাক শুনলে, আল্লাহ্‌র কাছে তাঁর অনুগ্রহ চাইবে; কারণ, সেটি একজন ফেরেশতা দেখেছে। আর গাধার চিৎকার শুনলে, শয়তানের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাইবে; কারণ, গাধা একটি শয়তান দেখেছে।” রেফারেন্সবুখারীঃ ৩৩০৩

28.অন্তর যখন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্‌মুখী থাকে

গুহাবাসীদের ঘটনা-সংক্রান্ত হাদীসে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, কারণ তাদের প্রত্যেকে এমন একটি করে ভালো কাজের কথা উল্লেখ করেছে, যা সে আল্লাহ্‌র নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের জন্য করেছে; এরপর সে তার ওই ভালো কাজের ওসীলা দিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করলে, আল্লাহ্‌ তার ডাকে সাড়া দেন। রেফারেন্সবুখারীঃ ২২১৫

29.যুলহিজ্জাহ মাসের দশ দিন

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, “এ দিনগুলোর (অর্থাৎ দশ দিনের) নেক আমলের চেয়ে অন্য কোনও দিনের নেক আমল আল্লাহ্‌র কাছে অধিক প্রিয় নয়।” সাহাবীগণ বলেন, “হে আল্লাহ্‌র রাসূল (ﷺ) আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদও নয়?” নবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহ্‌র রাস্তায় জিহাদও নয়; তবে ওই ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে নিজের জান ও মাল নিয়ে জিহাদে গিয়েছে আর কোনও একটি নিয়েও ফিরে আসেনি।” রেফারেন্সবুখারীঃ ৯৬৯

carnation e book

ফিকহ অব ম্যারেজ
ফিকহ অব ম্যারেজ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *